ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৫৬ বার
বগুড়ার শেরপুরে সাবিনা বেগম (৩০) নামের এক গৃহবধূর লাশ ঘরে রেখে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছেন। খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় আনে। আজ শনিবার (২০ মার্চ) বেলা ১০টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, নয় মাস আগে উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের ইব্রাহীম হোসেনের ছেলে শফিকুল ইসলাম শফির সঙ্গে সাবিনার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। তাই কারণে-অকারণে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো। এমনকি স্ত্রীর পরকীয়া রয়েছে বলেও সন্দেহ করেন স্বামী শফিকুল ইসলাম। বিষয়টি নিয়ে গতকাল শুক্রবার (১৯ মার্চ) বিকেলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।
একপর্যায়ে সাবিনাকে তার স্বামী মারধরও করেন। পরবর্তীতে ওইদিন রাত অনুমান ৮টার দিকে দেবর রেজাউলের ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় রশি লাগানো সাবিনাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এরপর রশি কেটে গৃহবধূ সাবিনাকে মাটিতে নামিয়ে ঘরের মধ্যে লাশ ফেলে রেখে তার স্বামী শফিকুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যান।
শেরপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, ঘটনার দিন বিকেলে ওই গৃহবধূকে শারিরীকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। এছাড়া গলায় ফাঁস দেওয়ার চিহ্ন রয়েছে। তাই এই মৃত্যুটি রহস্যজনক মনে হওয়ায় নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়া গেলেই কেবল মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এছাড়া ঘটনার পর থেকেই স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক থাকায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। উক্ত ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পরবর্তীতে নিহতের পরিবারের অভিযোগ ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।