ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

উজার হচ্ছে বনভূমি

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৩১ বার


উজার হচ্ছে বনভূমি

মো: আবদুল আলীম: একটি দেশের শতকরা ২৫ ভাগ বনভূমি থাকার কথা। এ পরিমান বনভূমি না থাকলে সে দেশে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে বন্যা, খরা, অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, জলোচ্ছাস, নদী ক্ষয়, ঝড়, ভূমিধ্বস, তাপমাত্রা বৃদ্ধি ইত্যাদি দূর্যোগে প্রতি বছর জান মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়া স্বাভাবিক। বাংলাদেশে বনভূমির পরিমান আশংকাজনক হারে কমছে। বিষয়টি নিয়ে পরিবেশবিদ ও সরকারের কয়েকটি মহলে শংকা প্রকাশ করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন বনাঞ্চলে হাজার হাজার একর জমি বেহাত হয়ে যাচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসকরা টাকার বিনিময়ে এসব সরকারি ভূমি মানুষের নামে বন্দোবস্ত করে দেয়। বনের মূল্যবান এসব জমিতে বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা গড়ে ওঠছে। কলকারখানা  থেকে শুরু করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসত বাড়ি গড়ে ওঠছে বনের জমিতে। নির্বিচারে কেটে ফেলা হচ্ছে বিরল প্রকৃতির গাছ। বণ্য প্রাণী বনের ভেতর না থাকতে পেরে চলে আসছে লোকালয়ে।

বন উজারের কারণে অনেক বণ্য প্রাণী ও পাখি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। কয়েক লাখ একর জমি ভূমিদস্যু ও দখলবাজদের হাতে চলে গেছে যা উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এসব জমি উদ্ধারে কয়েক হাজার মামলা হয়েছে। বণ মন্ত্রণালয় থেকে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠি ইস্যু করা হচ্ছে। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে নদী দখলকারীদেরকে যেভাবে উদ্ধার করা হয়েছে একই কায়দায় বণভূমি উদ্ধারে জোর তৎপরতা চালাবে বলে সরকার থেকে শোনা যাচ্ছে। তবে বনের জমি উদ্ধারে সরকার কতটুকু সফল  হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কারণ যারা বনের জমি দখল করেছে তারা রাজনৈতিক দিক দিয়ে অনেক প্রভাবশালী। তাছাড়া বন বিভাগের এক শ্রেণীর কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সিপাহী টাকার বিনিময়ে বনের জমি দখলে সহায়তা করে এমন অভিযোগের শেষ নেই।

গত কয়েক বছর আগে প্রধান বন কর্মকর্তার বাসায় তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর টাকা উদ্ধার করা হয় বলে গণমাধ্যমে ঝড় বয়ে যায়। দুর্নীতিবাজ এই কর্মকর্তার বাসায় বিছানার নিচে এমনকি বালিশের কভারের ভেতর থেকেও টাকা উদ্ধার করা হয়। এখনও যে এ ধরনের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা পাওয়া যাবে না তার নিশ্চয়তা কি? বন বিভাগের একজন সিপাহী প্রচুর টাকার মালিক বলে জনশ্রুতি আছে। সুতরাং একজন কর্মকর্তা কী পরিমান টাকার মালিক তা সহজেই অনুমেয়। এদেরকে অতি দ্রুত না ধরলে ও আইনের আওতায় না আনলে আমাদের মূল্যবান বনভূমি উজার হতেই থাকবে। আমাদের বহু মূল্যবান বনভূমিকে রক্ষা করতে হবে আমাদের অস্তিত্বের স্বার্থে। “ফিরিয়ে দাও অরণ্য”।

 

 

 

 


   আরও সংবাদ