ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

সাড়ে ৪শ শতক জমি ও দুটি ফ্ল্যাট জব্দ পিকে হালদারের

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৯৬ বার


সাড়ে ৪শ শতক জমি ও দুটি ফ্ল্যাট জব্দ পিকে হালদারের

পিকে (প্রশান্ত কুমার) হালদারের ‘অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের’ মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে রাজধানীর ৩শ ফিট এলাকার সাড়ে ৪শ শতক জমি ও ধানমন্ডিতে দুটি ফ্ল্যাট জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (২৮ মার্চ) দুদকের উপপরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন আদালতের এক আদেশে এগুলো জব্দ করেছেন বলে নিশ্চিত করেছে সংস্থাটির জনসংযোগ দফতর।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালত থেকে এক আদেশে পিকে হালদারের ১০তলা ভবনসহ এক হাজার ৮০ শতাংশ জমি জব্দ করার নির্দেশনা দেন। যার অংশ হিসেবে আজ ওই সম্পদ জব্দ করা হলো।

দুদক জানায়, রাজধানীর উত্তরায় পিকে হালদারের একটি ১০তলা ভবন ছাড়াও গ্রিন রোড, উত্তরা, দিয়াবাড়ি, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও নরসিংদীসহ বিভিন্ন এলাকায় থাকা তার ওইসব জমি জব্দের আদেশ এসেছে।

এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বিভিন্ন কৌশলে নামে-বেনামে অসংখ্য কোম্পানি খুলে শেয়ারবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ শেয়ার কেনেন এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ও পরে নিজের আত্মীয়, বন্ধু ও সাবেক সহকর্মীসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে পর্ষদে বসিয়ে অন্তত চারটি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেন।

কোম্পানিগুলো হলো- ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (আইএলএফএসএল), পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি)। এসব কোম্পানি থেকে তিনি ঋণের নামে বিপুল অঙ্কের টাকা সরিয়ে বিদেশে পাচার করেছেন।

ক্যাসিনো অভিযানের ধারাবাহিকতায় প্রায় ২৭৫ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে প্রথম মামলা করে দুদক। গত ৮ জানুয়ারি দুদকের অনুরোধে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা দিয়ে রেড অ্যালার্ট জারি করে ইন্টারপোল।

দুদক উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে আরও একটি টিম অনুসন্ধানের দায়িত্ব পালন করেছে। ওই টিম এরইমধ্যে ১৫টি মামলা করেছে। ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে প্রায় ৮শ কোটি টাকা ভুয়া ঋণের নামে উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগে ৩৭ জনের বিরুদ্ধে ১০ মামলা এবং ৩৫০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৩৩ শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক পাঁচ মামলা করে দুদক।


   আরও সংবাদ