ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

আশুলিয়ায় লাসানিয়া রেস্টুরেন্টের অনুকুলে রুপালীর ৪ কোটি টাকা ঋন

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৭৭ বার


আশুলিয়ায় লাসানিয়া রেস্টুরেন্টের অনুকুলে রুপালীর ৪ কোটি টাকা ঋন

অনুসন্ধানী রির্পোটার: রুপালী ব্যাংক লি: লোকাল অফিসের ৪ কোটি টাকা ঋনের হদিছ মিলছে না বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। আরও ৪০ লাখ টাকা ঋনের  ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। দেওয়ান এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী ঝন্টু রুপালী ব্যাংক লি: এর একই শাখা থেকে ৪০ লাখ টাকা ঋন নিয়ে গ্যারান্টার আমান উল্লাহ’র সাথে ভাগবাটোয়ারা করে নেন দুজনে। এরপর প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড সরিয়ে অন্যত্র চলে যান বলে সূত্রে প্রকাশ। ঋনের ৪০ লাখ টাকা সূদেমূলে বেড়ে যাচ্ছে যা পরিশোধে শংকা রয়েছে বলে ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে। গ্যারান্টার আমান উল্লাহ মুনা ব্রিডার্স ও লাসানিয়া রেস্টুরেন্ট এর মালিক। আমান উল্লাহ লাসানিয়া রেস্টুরেন্টের নামে রুপালী ব্যাংক লোকাল অফিস ঢাকা থেকে ৪ কোটি টাকা ঋন নেন।


হোটেলটির ঠিকানা বিকেএসপি গেট সংলগ্ন জিরানি বাজার, আশুলিয়া, ঢাকা। এক তলা একটি হোটেলের অনুকুলে কি কারণে ৪ কোটি টাকা ঋন দেওয়া হলো এমন প্রশ্নের জবাবে ব্যাংকটির কর্মকর্তাগণ সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেন নাই। হোটেলটির অবকাঠামোর কোন পরিবর্তন করা হয় নাই। কোন সাজসজ্জা করা হয় নাই। পুরাতন টেবিলে চায়ের দিয়ে হোটেল চলছে।  হােটেলটি বাকি এসপেরি সরকারী জমিতে অবস্থিত। এর অবকাঠামো পরিবর্তন করতে হলে সরকারের অনুমোতি লাগবে। তাছাড়া মাছ মাংশ থেকে শুরু করে রান্নার সকল উপাদান বাকিতে হোটেলে সরবরাহ করা হয়। এ অবস্থায় রুপালী ব্যাংক থেকে প্রদত্ব ঋনের ৪ কোটি টাকা কোথায় কিভাবে বিনিয়োগ করা হলো তা অভিজ্ঞ ব্যাংকারদের জিজ্ঞাসা। এই ঋন আদায় হবে কি না তা নিয়ে অনশ্চিয়তা রয়েছে।

এ ব্যপারে আমান উল্লাহ’র বক্তব্য নেওয়ার জন্য মুঠোফোন নং ০১৭১৩-৫৬৪৭৬৯ তে যোগাযোগ করলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন তিনি ব্যাংক থেকে কোন ঋন নেন নাই। ঠিক এর পরই আমান উল্লাহ এক সাংবাদিককে দিয়ে এ প্রতিবেদককে ফোন করান এবং তিনি আমান উল্লাহ’র পক্ষে কথা বলেন। এই সাংবাদিক নিজের  নাম জাকির বলে জানান এবং তিনি চ্যানেল আই তে আছেন বলেও জানান। এদিকে আমান উল্লাহকে ফোন করলে রিসিভ করছেন না। বিশাল এই ঋনের টাকার ব্যপারে রুপালী ব্যাংক দায়িত্ব এড়াতে পারে না। অনিয়মের সাথে ব্যাংকের কেউ জড়িত আছে কি না তা তদন্ত করলে বের হবে। এ ব্যপারে এ প্রতিবেদকের তদন্ত চলছে। আগামি সংখ্যায় থাকছে। (২য় পর্ব)।

 

 


   আরও সংবাদ