ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫২৮ বার
দাদির কাছে ঘুমাচ্ছিল পাঁচ বছরের শিশু তানিশা আক্তার। গভীর রাতে ঘুমন্ত তানিশাকে উঠিয়ে নিজের কাছে নেন সৎ মা মুক্তা খাতুন। এরপর দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে সন্তানকে নিজের হাতে খুন করে ক্ষোভ মেটালেন তিনি। তানিশার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে গিয়ে রক্ত দেখে থানায় খবর দেয়।
সোমবার (০৫ এপ্রিল) রাতে খুলনার তেরখাদা উপজেলার আড়কান্দী গ্রামে মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে। নিহত তানিশা একই গ্রামের খাজা শেখের মেয়ে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মুক্তা খাতুনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, সাত বছর আগে একই উপজেলার আক্কাস শেখের মেয়ে তাসলিমাকে বিয়ে করেন খাজা শেখ। একপর্যায়ে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়। বছর দেড়েক আগে মুক্তাকে বিয়ে করেন তিনি। এরপর থেকেই সৎ মেয়ের ওপর অত্যাচার শুরু হয়। বাবার বাড়িতে নিয়েও তানিশাকে নির্যাতন করতেন মুক্তা।
সোমবার রাতে বাড়িতে ছিলেন না তানিশার বাবা। দাদির কাছে ঘুমিয়েছিল শিশুটি। গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে তুলে নিয়ে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন মুক্তা। এতে তানিশার চিৎকারে আশপাশের লোকজন রক্ত দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে সৎ মা মুক্তাকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশ। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা উদ্ধার করা হয়েছে।
তেরখাদা থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শিশু তানিশাকে মেনে নিতে না পারায় সৎ মা মুক্তা তাকে হত্যা করেছে। শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকরা। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।