ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির অত্যাচারে মৃত্যু পথে গৃহবধু

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৭৭ বার


স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির অত্যাচারে মৃত্যু পথে গৃহবধু

জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ- যৌতুকলোভী স্বামী শ্বশুর ও শ্বশুড়ির যৌথ অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন সোনালী খাতুন (২৬) নামে এক গৃহবধু। এখন তিনি জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে। ঢাকার মিডফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সোনালী মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটফট করছে। তার ঘাড়ের শিরা-উপশিরা ছিড়ে গেছে। সোনালী খাতুন ঝিনাইদহ পৌর এলাকার গোয়ালবাড়ি কাস্টসাগরা গ্রামের গোলাম রসুলের মেয়ে ও সদরের পাগলাকানাই ইউনিয়নের বানিয়াকান্দর গ্রামের আব্দুল হালিমের স্ত্রী।

ঝিনাইদহ সদর থানায় দায়ের করা অভিযোগে সোনালীর চাচা আনিচুর রহমান উল্লেখ করা হয়েছে, ৮ বছর আগে দুই লাখ টাকার দেন মহরে বানিয়াকান্দর গ্রামের নোয়াব আলীর ছেলে আব্দুল হালিমের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই হালিম নানা কারণে মারধর করতো। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হলেই হালিম অকথ্য নির্যাতন করতো। সঙ্গে শ্বাশুড়ি ময়না বেগম ও দাদা শ্বশুর আনোয়ার হোসেনও যোগ দিত। পরিবারের সবাই সোনালীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করায় হতাশ হয়ে পড়ে সোনালী।

তারপরও স্বামীর ঘৃনা ও ক্রোধের হাত থেকে রক্ষা পেতো না এক সন্তানের জননী সোনালী। স্বামীর উপর রাগ করে সোনালী একবার পিতার বাড়িতে চলে আসলে পাষন্ড স্বামী রাতের আঁধারে এসিড ছুড়ে হত্যার চেষ্টা করে। গ্রাম্য মাতুব্বরদের মধ্যস্থতা ও ৬ বছরের একমাত্র ছেলে সায়মুনের দিকে তাকিয়ে আবার স্বামীর সংসারে ফিরে যায় সোনালী। গত ৬ এপ্রিল স্বামীসহ তার পরিবারের লোকজন জোটবদ্ধ ভাবে যৌতুকের জন্য সোনালীর উপর নির্যাতন করতে থাকে।

সোনালীর কোল থেকে তার সন্তান সায়মুনকে কেড়ে নিয়ে নানা বাড়ি গোয়ালবাড়ি কাস্টসাগড়ায় পাঠিয়ে দেয়। সোনালীও অপমান অপদস্ত হয়ে পিতার বাড়ি চলে আসে এবং ঘটনার দিন ঘরের আড়ার সঙ্গে গলাই ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। সোনালীকে উদ্ধার করে প্রথমে ঝিনাইদহ ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোনালীর অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়লে তাকে গত বুধবার ঢাকার মিডফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখনো তার অবস্থা আশংকাজনক বলে তার পিতা গোলাম রসুল জানন।

চাচা আনিচুর রহমান জানান, আমরা এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু এখনো কোন পদক্ষেপের কথা জানতে পারিনি। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মোঃ মিজানুর রহমান বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ হাতে পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।

 


   আরও সংবাদ