ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬৬৮ বার
সুর্বনা রানী: পহেলা বৈশাখের প্রস্তুতি থাকার পরও গত বছর উদ্যাপন করা যায়নি বৈশাখ, এবারও একই চিত্র। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা। ভ্রাম্যমাণ ফেরিওয়ালা, লাথ লাখ মুড়ি-মুড়কি বিক্রেতা, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং মাঝারি ও পাইকারি ব্যবসায়ী আছে সারা দেশে। এরা কেউই বৈশাখ ঘিরে ব্যবসা করতে পারবেন না এবার। তবে প্রস্তুতি ছিল। শেষ পর্যন্ত ‘লকডাউনে’ সব বন্দি হয়ে গেল।
করোনা শুরুর আগের বছর পর্যন্ত চৈত্রের শেষ দিনে দেশীয় পোশাক, মুড়ি-মুড়কি ও খাবারের দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় থাকত। করোনায় বদলে গেছে সেই চিত্র। মাঝখানে একটা আশা দেখা গেলেও শেষ পর্যন্ত দোকানিরা এবারও ঘরে বসে হিসাব কষছেন লোকসানের। কেননা, ‘লকডাউনে’ অভিজাত শপিংমল থেকে ফুটপাতের দোকান সব বন্ধ।
মফস্সলেও বৈশাখী মেলার উদ্যোগ ভেস্তে গেছে। ইলিশসহ খাবারের বাণিজ্যেও ধস। বৈশাখী উৎসব ঘিরে এই মৌসুমে ৭-৮ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য এখন পুরোটাই শূন্যের কোঠায়। নারায়ণগঞ্জের তাঁতিপল্লিতে কারিগরদের দম ফেলার সময় থাকত না। এবারও এক ধরনের প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ‘লকডাউনে’ বন্দি সব। একের পর এক অর্ডার বাতিল হওয়ায় মহাজনরাও বিপাকে পড়েছেন। সবার স্বার্থে দেওয়া ‘লকডাউন’ মেনে নিতেই হবে। তবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা দিলে ক্ষতি অনেকটা কাটিয়ে ওঠা যাবে।
বৈশাখ ও রোজার ঈদের উৎসব মিলিয়ে কয়েক মাস আগে থেকেই বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করে রেখেছিলেন ব্যবসায়ীরা। বৈশাখের আয় দিয়ে সারা বছরের কর্মপরিকল্পনা করে থাকেন অনেক ব্যবসায়ী। কিন্তু লকডাউনের কারণে সব শেষ।
‘লকডাউনের’ কারণে বর্ষবরণকে ঘিরে কোনো আয়োজনই করা হয়ে ওঠেনি কোনো মানুষের। পুরো আনন্দটাই মাটি।