ঢাকা, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

লকডাউনে রাস্তায় পুলিশী হয়রানি

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৪৭ বার


লকডাউনে রাস্তায় পুলিশী হয়রানি

মো: আব্দুল আলীম: চলমান লাকডাউনে রাস্তায় পুলশী হয়রানির একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। করোনাকালে সন্মুখযোদ্ধা চিকিৎসক, সাংবাদিক ও স্বাস্থ্যকর্মীদেরকে লাকডাউনের  আওতামুক্ত রাখা হয়েছে। তাছাড়া পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে কর্মক্ষেত্রে যাবার সময় তাদেরকে সন্তোষজনক জবাবের ভিত্তিতে হয়রানি না করতে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে সাংবাদিকরা পর্যন্ত পুলিশের মামলা ও জরিমানার মুখে পড়েন। বিভিন্ন পেশাজীবীদের শুনতে হয়েছে পুলিশের আপত্তিকর কথা। এসব ভোগান্তি নিয়ে অনেকে ফেসবুকে অনেক পোষ্ট লিখেছেন, ছবি ও ভিডিও পোষ্ট করেছেন।

চিকিৎসক পরিচয় দেওয়ার পরও পুলিশেরা তল্লাশীর নামে জিজ্ঞাসা করে তার সাথে মুভম্যান্ট পাশ আছে কিনা। একাধিক সাংবাদিককে পাশ আছে কিনা জিজ্ঞাসা করে ও দীর্ঘ সময় আটকিয়ে রাখে পুলিশরা। রাজধানীর সোনারগা হোটেলের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন দৈনিক অর্থসুচকের সাংবাদিক হৃদয় আলম। পুলিশ তাকে আটকালে সাংবাদিক পরিচয় দিলে একজন কন্সটেবল বলে, ক্যামেরা ছাড়া আপনি কিয়ের সাংবাদিক? শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ইফতেখারকে গত বুধবার রাতে ফার্মগেটে অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

তিনি কর্মক্ষেত্র থেকে বাসায় ফিরছিলেন বলার পরও তাকে জোর করে নামিয়ে দেয় পুলিশ। পরে ওই চিকিৎসক সাত কিলোমিটার হেঁটে রামপুরায় তার বাসায় যান। গত বুধবার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক শাহজাদ হোসেন মাসুম ফেসবুক পোস্টে লেখেন, আমার আইসিডির নার্সদের বহনকারী অধিদফতরের স্টিকারযুক্ত গাড়ি টঙ্গী থেকে আসার সময় পুলিশ আটকিয়ে দেয়। পুুলিশ বলে, মুভম্যান্ট পাশ ছাড়া যাওয়া যাবেনা। অনেক বুঝানোর পরও পুলিশ দুই ঘন্টা গাড়ি আটকিয়ে রাখে। কুর্মিটোলা হাসপাতালের চিকিৎসক কৃষ্ণা হালদার চিকিৎসকদের একটি গ্রুপে পোষ্ট দিয়ে নিজের ভোগান্তির কথা লিখেছেন।

তিনি লেখেন, গত রাতে হাসপাতালে নাইট শিফটের ডিউটি ছিল। সকালে আমার গাড়ি চালক আমাকে নিতে আসার সময় কাওরান বাজার গাড়ি আটকিয়ে দেয় পুলিশ। চালক আমাকে আনতে আসছেন জানানোর পরও পুলিশ মামলা করে, সব কাগজ পত্র ছিনিয়ে গেছে, গাড়িতে থাকা আমার পরিচয় পত্র ছুড়ে মারে। মোটর সাইকেলে করে কর্মক্ষেত্রে যাবার সময় সাংবাদিকদের আটকিয়ে দেয় পুলিশ। এরপর গাড়ির কাগজপত্র তল্লাশির পর সব কিছু সঠিক পাওয়ার পরও মামলা করে পুলিশ। দেশের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও সাংবাদিকরা লকডাউনের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনে অবর্ণনীয় পুলিশী হয়রানির শিকার হন।

অথচ এসব পেশার লোকরা লকডাউনের আওতাভুক্ত নয় এবং তাদের বাইরে বের হতে কোন পাশের প্রয়োজন নেই বলে সরকার থেকে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্ত পুলিশ কেন এসব নির্দেশ মানছেনা তা ভুক্তভোগীদের জিজ্ঞাসা।

 


   আরও সংবাদ