ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬৮৬ বার
তরমুজ উৎপাদনে অন্যতম এলাকা হিসেবে পরিচিতি পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় এ বছর বাম্পার ফলন হয়েছে। তরমুজের ফলন যেমন ভালো, বাজার দামও বেশি। তাই রাঙা তরমুজে হাঁসি ফুটেছে চাষিদের।
তবে ক্ষেতের ভাল ফলন দেখে মুখে হাঁসি ফুটলেও বিলম্বে আবাদ করা চাষিদের সেই হাঁসি এখন দিন দিন মলিন হয়ে যাচ্ছে। কারণ, বুধবার থেকে আটদিনের জন্য কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। তারা বলছেন, এখনও ক্ষেতে প্রচুর তরমুজ। কঠোর লকডাউনে তাদের ক্ষতি হচ্ছে। তাই চাষিদের দাবি, এই ক্ষতি ঠেকাতে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তাদের কাছ থেকে তরমুজ ক্রয় করা হোক।
নাটোর থেকে রাঙ্গাবালীর কাউখালী গ্রামে তরমুজ কিনতে আসা পাইকার নুরুল ইসলাম বলেন, ‘ট্রাক আগে যেটা ২৫ হাজর টাকায় ভাড়া করতাম। লকডাউনের কারণে এখন সেটা ৪০-৪৫ হাজার। ৪০ হাজার টাকার ট্রলারের ভাড়া ৬০-৭০ হাজার। ক্ষেতে প্রচুর তরমুজ কেনা। লকডাউনের কারণে চাষি এবং আমাদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। কারণ, রাস্তায় যদি মানুষ না থাকে তাহলে তরমুজ কিনবে কে? আর আমরা বিক্রি বা করবো কেমনে?।’
প্রতিবেদকের কথা হয় মোহাম্মদ সাদ্দামের সাথে। তিনি বলেন, ‘তরমুজ আবাদের শুরু থেকে তেমন লাভের মুখ দেখেননি। গতবছর লকডাউন ও অতিবৃষ্টিতে তার ৫-৬ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। কিন্তু বৃষ্টি কিংবা প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হওয়ায় এবার লাভবান। আমার মত এবার আগে ভাগে যারা তরমুজ বিক্রি করতে পেরেছেন, তারা কমবেশি সবাই লাভবান হয়েছেন। তবে তরমুজ বিক্রি শেষ হতে এখনও প্রায় ১০-১৫ দিন সময় লাগবে। লকডাউনের বড় ধরণের প্রভাব পড়লে শতকরা ৩০ ভাগ চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তরমুজের এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। গতবছর করোনা পরিস্থিতির কারণে যেসকল চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এ বছর সেই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পেরেছেন তারা।’
লকডাউন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বেশিরভাগ ক্ষেতের তরমুজ বিক্রি শেষ। ৭ দিনের সীমিত লকডাউনে কৃষিজাত পণ্য হিসেবে তরমুজ পরিবহণে কোন বাঁধা ছিল না। আশা রাখি, কঠোর লকডাউনেও সমস্যা না হলে প্রায় সব কৃষকই লাভবান হবেন।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, ‘লকডাউনের জন্য জারিকৃত সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী কৃষিপণ্য হিসেবে তরমুজ পরিবহণে কোন ধরণের নিষেধাজ্ঞা নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কৃষকরা নির্বিঘ্নে তরমুজ বাজারজাত করতে পারবেন। কোন ধরণের সমস্যা হলে কৃষকরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে।’