ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

বোরো ধানের ভালো ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬৭১ বার


বোরো ধানের ভালো ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

অপরাধ ডেস্ক: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এ মৌসুমে শিলাবৃষ্টি ও পোকার আক্রমণের পরও ফলন হয়েছে ভালো। বাম্পার ফলনে হাসি ফুঠেছে কৃষকের মুখে। ইতোমধ্যেই ১৬০০ হেক্টর জমির ধান কেটেছেন কৃষকরা। ফসল কাটার আগে কালবৈশাখী ঝড় আর শিলাবৃষ্টি না হলেই এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন গোলায় তোলার প্রতিক্ষায় কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, এ বছর বিশ্বনাথে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭ হাজার ২১০ হেক্টর জমিতে। আর আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ৩০০ হেক্টর জমি। ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৩৫ হাজার মেট্রিকটন।

সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন হাওর ঘুরে দেখা যায়, জমিতে পাকা ধানা কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। কেউ কেউ দল বেঁধে কাস্তে দিয়ে কাটছেন ধান। কেউবা ধান কাটার যন্ত্র (কম্বাইনহারভেস্টার) দিয়ে, একই সাথে ক্ষেতের ধান কাটা, মাড়াই-ঝাড়াই করে বস্তাবন্ধি করছেন। এ বছর বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় এখন পানি জমেনি হাওরের কোথাও। এখনও সবুজ রয়েছে বেশ কিছু ফসলের মাঠ।

উপজেলা সফল চাষি জাবের আহমদ বলেন, কম খরচে বিষমুক্ত বোরো ধান নিজে চাষে করেছি। অন্যান্য সময়ের তুলনায় এবার অশানুরূ ফলন হয়েছে। বাজারে ধানের দামও চাহিদা মতো পাওয়ায় আমরা খুশি।   ভর্তুকিমূল্যে সরকারের দেয়া ধান কাটার
মেশিন দিয়ে অনায়াসেই নিজের ক্ষেতের ধান কাটার পাশাপাশি অন্য কৃষকদের সহায়তা করতে পারবো।
 
এ বিষেয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ইতিমধ্যে আবাদ করা ফসলের ২২% ধান কেটেছেন কৃষকরা। নেই শ্রমিক সংকটও। তাছাড়া ধান কাটার একাধিক অত্যাধুনিক যন্ত্র (কম্বাইন হারভেস্টার) ভর্তুকিমূল্যে কৃষকের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এ মৌসুমে বোরো ধানের ভালো ফলনে কৃষকরা নিঃসন্দেহে লাভবান হবেন।

 


   আরও সংবাদ