স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৭৮ বার
অপরাধ ডেস্ক: বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে কুমিল্লা থেকে বান্দরবানের লামা উপজেলায় এনে জিম্মি করে মুক্তিপণ না পেয়ে এক কিশোরকে হত্যার পর মাটি চাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নিহত কিশোরের নাম হাফেজ মো. অলি উল্লাহ স্বাধীন। মঙ্গলবার রাত ২টায় আসামিদের দেওয়া তথ্যমতে অভিযান চালিয়ে খুনের ২৫ দিন পর মাটির নিচ থেকে নিহত হাফেজ স্বাধীনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এর আগে এ ঘটনায় পুলিশ মঙ্গলবার দুপুরে লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বেতঝিরি থেকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মূল দুই আসামি ফয়েজ আহমদ (৩৮) ও মো. আরিফুল ইসলামকে (১৭) আটক করে। গত ২২ মার্চ নৃশংস এ ঘটনা ঘটে বান্দরবানের লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের শিং ঝিরি এলাকায়।
নৃশংসভাবে খুন হওয়া হাফেজ মো. অলি উল্লাহ স্বাধীন কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের বিষুপুর গ্রামের মো. মোবারক হোসেন ও লুৎফা বেগমের ছেলে।
খুনের ঘটনায় আটক দুই আসামি হলো- কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার খারাতাইয়া গ্রামের আব্দুল মালেক এর ছেলে মো. ফয়েজ আহমদ ও নিহতের আপন ফুফাতো ভাই কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের বিষুপুর গ্রামের মৃত মো. আব্দুল গণি খাঁর ছেলে মো. আরিফুল ইসলাম।
নিহতের বড় ভাই রিয়াজ উদ্দিন সোহেল বলেন, গত ২২ মার্চ ছোট ভাই হাফেজ স্বাধীন তার ফুফাতো ভাই মো আরিফুল ইসলামের সঙ্গে বেড়ানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। কয়েক দিন ধরে ছোট ভাইয়ের কোনো খোঁজখবর না পেয়ে আমরা গত ২৪ মার্চ কুমিল্লার বুড়িচং থানায় হারানোর জিডি করে।
জিডির সূত্র ধরে তার মোবাইল নাম্বার ট্রেকিং করে মঙ্গলবার লামা থানায় আসি। আমাদের দেওয়া তথ্যমতে অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে লামা থানা পুলিশ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ফয়েজ আহমদ ও আরিফুল ইসলামকে সন্দেহভাজন হিসাবে উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বেতঝিরি ফয়েজ আহমদের শ্বশুরবাড়ি থেকে আটক করে। ফয়েজ আহমদ বেতঝিরি এলাকার ইউনুচ মোল্লার মেয়ের জামাই।
তাদের আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করলে চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় পুলিশ। আসামিদের দেওয়া তথ্যমতে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টায় অভিযানে বের হয় লামা থানা। রাত ১টায় আসামি ও নিহতের দুই ভাইকে সঙ্গে নিয়ে খুনের ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। আসামিদের দেখানো স্থান রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের শিং ঝিরিস্থ পাহাড়ের ওপরে রাত ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত মাটি খুঁড়ে নিহত হাফেজ স্বাধীনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানা পুলিশের ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, আসামিদের দেওয়া তথ্যমতে ও তাদের দেখানো স্থানে মাটি খুঁড়ে আমরা নিহত হাফেজ স্বাধীনের মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হই।
মরদেহটি যে হাফেজ মো. অলি উল্লাহ স্বাধীনের তা তার বড় দুই ভাই রিয়াজ উদ্দিন সোহেল ও মো. জিলানী বাবু নিশ্চিত করেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ নিহতের পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করা হবে। দীর্ঘদিন হওয়ায় মরদেহ অনেকাংশ পঁচে গলে গেছে৷