স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬২১ বার
অপরাধ ডেস্ক: নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর করার ঘটনায় হওয়া মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের জামিনসংক্রান্ত বিষয়ে আজ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হবে। হাইকোর্ট বিভাগের জামিন স্থগিত করে দেওয়া আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে ইরফান সেলিমের আবেদন এবং হাইকোর্ট বিভাগের জামিন স্থগিত রাখতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর আজ রবিবার (২৫ এপ্রিল) এই শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) শুনানির এই দিন ধার্য করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ। ওইদিন ইরফান সেলিমের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।
নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খানকে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় হাইকোর্ট গত ১৮ মার্চ ইরফান সেলিমের জামিন মঞ্জুর করে রায় দেন। এই জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের ওপর শুনানি শেষে গত ২৮ মার্চ ইরফান সেলিমের জামিন চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে দেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানো হয়। এ ছাড়া চেম্বার জজ আদালতের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্য ইরফান সেলিম আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করেন। এই আবেনটিও শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানো হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে বিষয়টি উত্থাপিত হলে আদালত ২৫ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করেন।
গত বছরের ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যার পর ধানমণ্ডির কলাবাগান ক্রসিংয়ে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়েছিল 'সংসদ সদস্য' স্টিকার লাগানো হাজী সেলিমের গাড়ি। ঘটনার সময় সংসদ সদস্য হাজী সেলিম গাড়িতে ছিলেন না। তার ছেলে ইরফান ও নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। এরপর নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তা মোটরসাইকেল থামান এবং নিজের পরিচয় দেন। এ সময় হাজী সেলিমের গাড়ি থেকে দুজন ব্যক্তি নেমে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফকে মারধর করেন।
একপর্যায়ে ওই কর্মকর্তা আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। এ সময় ওয়াসিফের স্ত্রীকেও লাঞ্ছিত করা হয়। ঘটনাস্থলে লোকজন জড়ো হয়ে গেলে সংসদ সদস্যের গাড়ি ফেলে রেখে মারধরকারীরা পালিয়ে যান। পরে পুলিশ এসে গাড়ি ও মোটরসাইকেলটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমসহ চাজনের বিরুদ্ধে গত বছরের ২৬ অক্টোবর ধানমণ্ডি থানায় 'মারধর ও হত্যাচেষ্টা'র মামলা করেন নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ। এরপর সেদিনই ইরফান সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ মামলায় ইরফান সেলিম ঢাকার আদালতে জামিনের আবেদন করলে ওই আদালত গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর তা খারিজ করে দেন।
এরপর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন ইরফান সেলিম। হাইকোর্ট জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন। এ রুলের ওপর শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করে রায় দেন হাইকোর্ট।