স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৮২৫ বার
অনুসন্ধানী প্রতিবেদক: ঢাকার উত্তর যাত্রাবড়িতে তিনটি গলিতে সুয়্যারেজ লাইনের কাজ চলছে গলি তিনটির নাম হচ্ছে স্টিলম্যাচ গলি, ভুঁষিওয়ালার গলি ও বুলু মসজিদ গলি। ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক পুরাতন সুয়্যারেজ লাইন সরিয়ে নতুন সুয়্যারেজ লাইন বসানো হচ্চে। রাস্তা খুড়াখুড়ি কাজ শেষে এখন বিভিন্ন স্থানে আবাসিক ভবন থেকে সুয়্যারেজ পাইপ বসানোর জন্য পিট বসানোর কাজ চলছে।
প্রায় এক মাস আগে এই কাজ শুরু হয়। রাস্তা খুড়াখুড়ির সময় অদক্ষ শ্রমিকরা ভেকু মেশিন চালানোর সময় গলির দুই পাশের ভবনগুলোর বিদ্যুৎ লাইন ছিঁড়ে ফেলে। এতে আবাসিক ভবনগুলোর মাসুষের অবর্র্ননীয় ভোগান্তি হয়। নিকটস্ত বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করে বিদ্যুৎ লাইস সংযোগ দিতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয় এলাকাবাসীর। ভেকু মেশিন দিয়ে কাজ করার সময় ইন্টারনেট লাইন সংযোগ বিচ্ছিন হয়ে যায় এবং ওয়াসার পানির লাইনও ফেটে যায়।
এতে এলাকার পানির সরবরাহ বেশ কয়েকদিন বন্ধ থাকায় হাহাকার শুরু হয়। সুয়্যারেজ লাইনের পর রাস্তা উঁচু করার কাজ চলবে। কাজের গতি চলছে ধীর গতিতে। বাসা বাড়ি থেকে মেইন সড়কের সুয়্যারেজ লাইনের সাথে পাইপ দিয়ে সংযোগ দিতে এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলরের লোকদেরকে দিতে হচ্ছে মোটা অংকের চাঁদা। কেউ চাঁদা দিতে না চাইলে তাকে মেইন লাইনে সংযোগ দিতে দিচ্ছে না এবং প্রকাশ্যে হুমকি ধমকি ও ভয় ভীতি দেখানো হচ্ছে। চাঁদাবাজরা নিজেদেরকে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের লোক বলে পরিচয় দিচ্ছে।
পরিচয় না দিলেও তাদেরকে এলাকার সবাই চেনে। চাঁদাবাজরা বলছে চাঁদার টাকার ভাগ ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কালামকে দিতে হবে। স্য়্যুারেজ পাইপে বাসা বাড়ি থেকে সংযোগ দিতে প্রতিটি বাড়ি থেকে বাড়ির আকার ভেদে চাঁদা দিতে হচ্ছে। এই ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন ও স্থানীয় সরকার মণ্ত্রণালয় বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য হন। কিন্তু চাঁদাবাজদের চাঁদা ও হুমকি ধমকি থামছে না।
এলাকার ভুক্তভোগীদের প্রশ্ন, এ আমরা কোন দেশে বাস করি? সুয়্যারেজ লাইন বসানো ও রাস্তার উন্নয়নের কাজ চলছে খুবই ধীর গতিতে। নির্মান সমিগ্রী ইট বালু সিমেন্ট নিন্ম মানের দেওয়া হচ্ছে কি না এব্যাপারে তদন্ত করার জন্য ঠিকাদার বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে না বলে এলাকাবাসিদের অভিযোগ।এদিকে খোলা ম্যানহোল থেকে দুর্গর্ন্ধে এলকাবাসিরা টিকতে পরেছে না। জনসেবা ও উন্নয়নের নামে এধরনের জনহয়রানি এলাকাবাসি আশা করে নাই।
এ ব্যাপারে ৪৮ নং কাউন্সিলর আবুল কালামের বক্তব্য নেওয়ার জন্য মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তিনি কল রিসিভ করেন নাই। এদিকে ডিএসসিসির ঠিকাদারকে তার বক্তব্য নেওয়ার জন্য কল দিলে কল রিসিভ করছেন নএবং তাকে খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছে না। এলাকা সূত্রে জানা গেছে উক্ত কাজের ঠিকাদার নির্মান কাজ দেখাশুনার দায়িত্ব থাকলেও তিনি ঘটনাস্থলে আসেন না। এ ব্যাপারে এই প্রতিবেদকের তদন্ত চলছে।আগামি সংখ্যায় থাকছে।