নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬৭৯ বার
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর যাত্রাবাড়ি এলাকায় রাজউকের নকশা বহির্ভূত ও অনিয়মিত ভবনের বিরুদ্ধে রাজউক কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে রাজউক বরাবর ভুক্তভোগীদের দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা গেছে ৭২/৬/এ, উত্তর যাত্রাবাড়ি ঢাকা ঠিকানায় রাজউকের নকশা অনুমোদন না নিয়ে অনিয়মিতভাবে বহুতল ভবন নির্মান করা হয়েছে। ভবনটি রাস্তার জায়গা দখল করে নির্মান করার কারণে রাস্তাটি এক পাশে সরু ও বাঁকা হয়ে গেছে।
ভবনটির সামনে বেশ কয়েকটি দোকান নির্মান করা হয়েছে অথচ বাণিজ্যিক ব্যবহারের অনুমোদন নাই বলে দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা গেছে। দোকানগুলোর কারণে রাস্তায় যানজট লেগে থাকে। ভবনটি পুরাতন এবং ঝুঁকিপূর্ন বলে দৃশ্যমান। যে কোন সময়ে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। এপর্যন্ত রাজউকের অনেক ইমারত পরিদর্শক উক্ত ভবন হতে টাকা নিয়েছে বলে রাজউকে দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা গেছে। এলাকা থেকে ভুক্তভোগী রাজউক চেয়ারম্যান বরাবর ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ খ্রি: লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
কিন্তু রাজউক অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে অভিযোগটি ফেলে রাখে। পরবর্তীতে এলাকা থেকে রাজউক চেয়ারম্যান বরাবর দায়ের করা উক্ত অভিযোগটি সংযুক্ত করে ৪ এপ্রিল, ২০২১ খ্রি: দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটির অনুলিপি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও সচিব, রাজউকের চেয়ারম্যান, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) এবং পরিচালক (প্রশাসন) বরাবর প্রদান করা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশনে দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা গেছে যাত্রাবাড়ি এলাকায় অসংখ্য ভবন রাজউকের নকশা অনুমোদন ছাড়া নির্মিত হচ্ছে।
এলাকাবাসীরা ইমারত পরিদর্শক বসুদেব ভট্রাচার্জের সাথে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করে নির্মানাধীন অনিয়মিত ভবনগুলো সরেজমিনে দেখিয়ে দিচ্ছেন। অথচ রাজউক এব্যপারে কোন কার্যকরী ব্যবস্থা নিচ্ছে না এবং অনিয়মিত ভবনগুলোর নির্মান কাজ দ্রুত গতিতে চলছে যা নিয়ে এলাকার ভুক্তভোগীদের মধ্যে অনেক প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। তারা উক্ত এলাকার ইমারত পরিদর্শক বসুদেব ভট্রাচার্জ্য ও অথারাইজড অফিসার সরদার মোহাম্মদ মাহবুব এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অভিযোগ আকারে আবেদন জানান দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর।
উল্লিখিত ৭২/৬/এ উত্তর যাত্রাবাড়ি, ঢাকা ঠিকানায় অবস্থিত রাজউকের নিয়ম ভঙ্গ করে নির্মিত ভবনটির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার অভিযোগ দেওয়ার পরও রাজউকের নিরবতা নিয়ে অভিযোগকারীরা হতাশ।