ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

খরায় পুড়ছে ক্ষেত

নিজস্ব প্রতিবেদক


প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৭৬৬ বার


খরায় পুড়ছে ক্ষেত

নিজস্ব প্রতিবেদক:  তাপদাহ আর অনাবৃষ্টির কারণে কাশিয়ানীতে পুড়ছে পাটক্ষেত। বৈশাখের তপ্ত রোদে শুকিয়ে যাচ্ছে পাটগাছ। পাটের আবাদ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে কৃষকের। পাটের জমিতে ঘন ঘন সেচ দেওয়ায় যেমন বাড়ছে উৎপাদন খরচ, তেমনি প্রচণ্ড খরায় জমির আগাছা পরিষ্কার করতে পারছেন না কৃষকরা। এ অবস্থায় পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

জেলা আবহাওয়া অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবু সুফিয়ান জানিয়েছেন, চলতি মাসে জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৈশাখ মাস জুড়েই তাপদাহ অব্যাহত থাকবে। তবে বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, অনাবৃষ্টির কারণে পাটক্ষেত শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও পাটগাছ শুকিয়ে বিবর্ণ ও পাতা কুঁচকে গেছে। এ অবস্থায় অনেক কৃষক নষ্ট হওয়া পাটক্ষেতে নিড়ানি দিচ্ছেন না।

কাশিয়ানী উপজেলার চাপ্তা গ্রামের কৃষক ওয়াহিদ মিনা বলেন, গত বছর পাটের ভালো দাম পেয়ে এবার ৫ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। অনাবৃষ্টির কারণে এবার ঘন ঘন সেচ দিতে হচ্ছে। তার পরও পাটগাছ বাড়ছে না। বৃষ্টি না হওয়ায় জমির আগাছা নিড়ানি দেওয়া যাচ্ছে না।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর কাশিয়ানী উপজেলায় ৭ হাজার ৭৮০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সনজয় কুমার কুণ্ডু বলেন, অনেকে তপ্ত রোদে পাটের জমিতে সেচ দিচ্ছেন। এতে ভালো হওয়ার বদলে ক্ষতিই বেশি হচ্ছে। সন্ধ্যার পর জমিতে সেচ দিতে হবে। তাপদাহে পাটগাছে পোকার উপদ্রব বেড়ে যাবে। ফলে পাটের কচি পাতা কুঁকড়ে যাবে। এ অবস্থায় কীটনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেন তিনি।


   আরও সংবাদ