ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৮৩৩ বার
অপরাধ ডেস্ক: বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের আগাম জামিন আবেদনের ওপর শুনানি করেননি হাইকোর্ট। এখতিয়ার না থাকা সত্ত্বেও কার্যতালিকায় থাকা এ আগাম জামিন আবেদনের মামলা ডিলেট করে দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। এর ফলে আদালতকে এখতিয়ার না দেওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টে কোনও আগাম জামিন আবেদনের শুনানি করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
এদিন সিনিয়র অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন আদালতের কার্যক্রমের শুরুতে আগাম জামিনের বিষয়টি উল্লেখ করেন।
এরপর আদালত বলেন, করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউন চলা অবস্থায় আগাম জামিনের আবেদন শুনবো না। যেগুলো কজলিস্টে আগাম জামিনের শুনানির জন্য রাখা হয়েছিল সেটা অনভিপ্রেত। সেগুলো ডিলিট করে দেওয়া হবে। শুধুমাত্র ৪৯৮ ধারার (ফৌজদারি কার্যবিধির) আবেদন শুনবো। পেন্ডিং আপিলের জামিন আবেদন শুনবো না। এর আগে, পেন্ডিং আপিলে যেসব আবেদনের শুনানি করা হয়েছে সেসব রবিবার রিকল করা হবে বলে জানানো হয়।
পরে আদালত কজলিস্টে থাকা অন্য মামলার ওপর শুনানি শুরু করেন। এর আগে, গত ২২ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল আগাম জামিনের বিষয়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগকে জানান, আগাম জামিনের বিষয়ে কনসার্ন হাইকোর্ট বিভাগে কথা বলেছিলাম। আগাম জামিন আপনারা একটু না দিলে হয়তো….।
হাইকোর্টে আগাম জামিন বিষয়ে টানানো নোটিশ তখন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, আগাম জামিন আপাতত বন্ধ থাকবে। ওনারা (বিচারপতিরা) সবাই ভার্চ্যুয়ালি থাকলে কীভাবে আগাম জামিন চাইবেন? যত মোশন পেন্ডিং আছে সেগুলো আগে হোক, তারপর আপনারা আগাম জামিনের জন্য আসবেন। আগাম জামিনের বিষয়ে সবার সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেবো। বারের সবাইকে জানাবো।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় গুলশানের ১২০ নম্বর সড়কের ১৯ নম্বর বাসার একটি ফ্ল্যাট থেকে তরুণী মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান তানিয়া বাদী হয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সায়েম সোবহানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মুনিয়ার। সায়েম সোবহান তাকে আলাদা বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে থাকার ব্যবস্থা করেন। তার নিয়মিত ওই বাসায় যাতায়াত করতো। তারা স্বামী-স্ত্রীর মতো করে থাকতো।
মুনিয়ার বোন আরও অভিযোগ করেন, তার বোনকে বিয়ের কথা বলে ওই ফ্ল্যাটে রেখেছিল সায়েম। একটি ছবি ফেসবুকে দেওয়াকে কেন্দ্র করে সায়েম সোবহান তার বোনের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। তাদের মনে হচ্ছে, মুনিয়া আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। এ ঘটনার বিচার চান তারা। পরে ওই মামলায় আগাম জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানায় সায়েম সোবহান আনভীর। সে আবেদনটি হাইকোর্টের কার্যতালিকায় উঠলেও শুনানি করেননি আদালত।