ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

এক ভাইয়ের দেহ উদ্ধার, তিন ভাই থানায়

নিজস্ব প্রতিবেদক


প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬৮০ বার


এক ভাইয়ের দেহ উদ্ধার, তিন ভাই থানায়

নিজস্ব প্রতিবেদক: বগুড়ায় দলিল লেখক মশিউর রহমান সোনা মিয়ার (৩০) মরদেহ উদ্ধারের পর পুলিশ তার তিন ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। সোনা মিয়ার বাবা মকবুল হোসেন নান্নু মিয়া হত্যা মামলার বাদী ছিলেন তিনি। আর ওই মামলার একমাত্র আসামি ছিলেন সোনা মিয়ার ছোট ভাই তোতা মিয়া।

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যাদেরকে থানায় নেওয়া হয়েছে তারা হচ্ছেন- সোনা মিয়ার ছোট তিন ভাই যথাক্রমে তোতা মিয়া, তারা মিয়া ও মন্নু মিয়া।

জানা গেছে, ২০১৭ সালে পারিবারিক কলহের জের ধরে সোনা মিয়ার বাবা মকবুল হোসেন নান্নু মিয়ার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেন ছেলে তোতা মিয়া। লাঠির আঘাতে নান্নু মিয়া মারা যান। ওই সময় ছোট ভাই তোতা মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন সোনা মিয়া। পিতা হত্যার অভিযোগে তোতা মিয়া গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে থাকার পর বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে তারা চার ভাই এক বাড়িতেই বসবাস করতেন।

নিহতের মা সামছুন্নাহার জানান, চার ভাইয়ের মধ্যে সস্পর্ক ভালো ছিল। পিতা হত্যা নিয়ে ভাইদের মধ্যে কোনো বিরোধ ছিল না। তোতা মিয়া নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিয়ে আসছেন। পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে, তোতা মিয়া মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। ২০১৭ সালে পিতাকে হত্যার পর তিনি নিজেই থানায় হাজির হয়েছিলেন।

এদিকে স্থানীয় একটি সূত্রে জানা গেছে, নিহত সোনা মিয়ার স্ত্রী সোনিয়া আক্তারের বাবার বাড়ি ভোলা জেলায়। তাদের সংসারে ছয় বছর বয়সী একটি সন্তান রয়েছে। সোনা মিয়ার মরদেহ উদ্ধারের পর তার স্ত্রী সোনিয়া আক্তারের পরকীয়া নিয়ে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। এ কারণে পুলিশ তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।

বগুড়ার উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) ফজলে এলাহী বলেন, নিহতের তিন ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় পাঠানো হয়েছে। নিহত সোনা মিয়ার স্ত্রীর পরকীয়ার বিষয়টি নিয়েও অনুসন্ধান করা হচ্ছে।


   আরও সংবাদ