ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

ব্যবসা-বাণিজ্যে মানুষের আস্থা কমেছে

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৭২৬ বার


ব্যবসা-বাণিজ্যে মানুষের আস্থা কমেছে

অর্থনীতি ডেস্ক: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় ব্যবসা-বাণিজ্যে মানুষের আস্থা কমেছে। ২০২০ সালের জুলাই মাসে বিজনেস কনফিডেন্স ইনডেক্স বা ব্যবসার আস্থা সূচকের মান ছিল ৫১ দশমিক ৬, অক্টোবর মাসে সূচক ছিল ৫৫ দশমিক ২৪।

আর ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে সূচক ছিল ৫৭ দশমিক ৯০ এবং এপ্রিল মাসে সূচক ছিল ৪১ দশমিক ৩৯। হালকা প্রকৌশল, পরিবহণ এবং রেস্টুরেন্ট খাতের ব্যবসায় আস্থা সবচেয়ে কম। কোভিড-১৯ মহামারির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের আস্থা ও প্রত্যাশার ওপর সানেম ও দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত জরিপ ফলাফলে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ওয়েবিনারের মাধ্যমে রোববার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান। আলোচক ছিলেন বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রহমান।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালের এপ্রিলে পরিচালিত জরিপে অংশ নেওয়া ২২ শতাংশ ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, তারা প্রণোদনা প্যাকেজের সুবিধা পেয়েছেন। ৬৯ শতাংশ জানিয়েছেন তারা পাননি এবং ৯ শতাংশ জানিয়েছেন তারা প্যাকেজ সম্পর্কে জানেন না। জরিপকৃত বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৬ শতাংশ, মাঝারি ৩০ শতাংশ এবং ৯ শতাংশ ক্ষুদ্র ও ছোট প্রতিষ্ঠান প্রণোদনা পেয়েছে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর মাত্র ২ শতাংশ ব্যবসায়ী মনে করেন, অর্থনীতি শক্তিশালী পুনরুদ্ধারের দিকে যাচ্ছে। মাঝারি মানের পুনরুদ্ধারের দিকে যাচ্ছে বলে মনে করেন ৩১ শতাংশ এবং দুর্বল মানের পুনরুদ্ধারের দিকে যাচ্ছে বলে মনে করেন ৬৭ শতাংশ ব্যবসায়ী।

প্রতিবেদনে ২০২০ সালের এপ্রিল-জুন সময়কালে বার্ষিক প্রেজেন্ট বিজনেস স্ট্যাটাস ইনডেক্সের মান ছিল ২৬ দশমিক ৪৪, জুলাই-সেপ্টেম্বরে ছিল ৩৪ দশমিক ২৩, অক্টোবর-ডিসেম্বর মাসে ছিল ৩৬ দশমিক ৫০ এবং ২০২১ সালের জানুয়ারি-মার্চে হয়েছে ৪০ দশমিক ৫৫। এই সময়কালে ব্যবসার খরচ সংক্রান্ত সূচকের সবচেয়ে অবনতি হয়েছে। প্রেজেন্ট বার্ষিক বিজনেস স্ট্যাটাস ইনডেক্সকে খাতভিত্তিক বিবেচনায় নিয়ে দেখা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়কালে আর্থিক, ফার্মাসিউটিক্যাল, টেক্সটাইল ও খুচরা ব্যবসা তুলনামূলকভাবে অন্য খাতের চেয়ে ভালো করেছে।

তবে পিছিয়ে আছে পরিবহণ, রেস্টুরেন্ট, চামড়াগু, হালকা প্রকৌশল ও রিয়েল এস্টেট খাত। ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর গত বছর প্রথম প্রান্তিকে বড় ধসের পর সার্বিক পুনরুদ্ধার দেখতে পেয়েছি। দ্বিতীয় ঢেউ আসার আগপর্যন্ত ধারাবাহিক পুনরুদ্ধার দেখা গেছে। কিন্তু পুনরুদ্ধার সবার জন্য একরকম হয়নি। আর্থিক, পোশাকখাত, আইসিটিখাত এবং বড় প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি ভালো করেছে।

তিনি বলেন, ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো কম সংগঠিত। তাদের চাওয়া-পাওয়ার কথাগুলো সরকারের নীতিনির্ধারক পর্যায়ে শক্তভাবে পৌঁছায় না। ফলে তারা প্রণোদনার বাইরে থাকছে।

রিজওয়ান রহমান বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যবসায় আস্থা বাড়ানোর জন্য সরকারকে খাতভিত্তিক গাইডলাইন তৈরি করতে হবে এবং তা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পকে মহামারির প্রভাব থেকে বাঁচাতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ বিতরণের জন্য সুস্পষ্ট নীতিমালা থাকতে হবে।

 


   আরও সংবাদ