ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

বিয়ের আশ্বাসে যুবতীকে ধর্ষণ

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৭০৮ বার


বিয়ের আশ্বাসে যুবতীকে ধর্ষণ

অপরাধ ডেস্ক: ফরিদপুরের সালথায় বিয়ের আশ্বাসে ২০ বছরের এক যুবতীকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে মো. ফেলা মাতব্বর (৩০) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। ওই যুবতী এখন ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ঘটনাটি ২ লাখ টাকায় মীমাংসা করে যুবতীর গর্ভে থাকা সন্তানটি নষ্ট করে ফেলানোর সিদ্ধান্ত দেয় স্থানীয় কতিপয় মাতব্বর। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ধর্ষিত যুবতীকে উদ্ধার করে তার গর্ভের সন্তানটি বাঁচানোর জোর দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল। অভিযুক্ত ধর্ষক ফেলা মাতব্বর সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের নারানদিয়া গ্রামে বকা মাতব্বরের ছেলে।

ফেলা বিবাহিত। তার কোনো সন্তান নেই। আর ধর্ষিত যুবতী উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের  মোড়হাট এলাকার বাসিন্দা। ধর্ষিতার এক আত্মীয় অভিযোগ করে বলেন, আমার খালাতো বোন মাঝে মাঝেই আমার বাড়িতে এসে থাকত। একপর্যায়ে বছরখানেক আগে আমার বিবাহিত দেবরের মধ্য প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ফলে সে এখন ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরে ঘটনাটি স্থানীয়দের মধ্যে জানাজানি হলে তারা আমার আত্মীয়কে বিয়ে করার জন্য ফেলাকে চাপ দেয়।

কিন্তু এতে তিনি রাজি হন না। পরে ১৫ থেকে ২০ এপ্রিলের মধ্যে কোনো এক দিন রাতে ওই প্রভাবশালীরা পার্শ্ববর্তী কুমারপট্টি গ্রামে থাকা ধর্ষিতার খালু নান্নু মোল্যার বাড়িতে ২ লাখ টাকার বিনিময় ঘটনাটি গোপনে মীমাংসা করে দেয়। তারা আরও বলেন, এই টাকায় শুধু ধর্ষণের ঘটনা থাপাচাপা দেওয়া হয়নি, সালিশে ধর্ষিতার গর্ভে থাকা সন্তানটিও নষ্ট করার সিদ্ধান্ত দেয় প্রভাবশালীরা। মীমাংসার পর থেকে ধর্ষিত যুবতী তার গর্ভের সন্তান নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। আর ধর্ষক ফেলা মাতুব্বর বিদেশে চলে গেছেন বলে দাবি করেছেন তার পরিবার।

স্থানীয় অনেকে বলেছেন, ধর্ষক ফেলা দেশেই আছেন। তবে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সালথা-নগরকান্দা সার্কেল) মো. সমিনুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দ্রত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  সালথা থানার ওসি মো. আশিকুজ্জামান বলেন, নারানদিয়া গ্রামের এরকম কোনো ঘটনা আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।


   আরও সংবাদ