ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৭৭৭ বার
অর্থনীতি ডেস্ক: অন্যান্য নিত্যপণ্যের সঙ্গে বেড়েছে দুধ ও টক দইয়ের দাম। রোজায় ইফতার ও সাহরিতে অনেকেই টক দই ও দুধ খেয়ে থাকে। আবার বিভিন্ন মিষ্টিজাতীয় কিংবা অন্যান্য খাবারেও টক দই ও দুধ ব্যবহার করা হয়। ক্রেতারা বলছে, এই সুযোগে বড় বড় কম্পানি টক দইয়ের দাম বাড়িয়েছে।
কনফেকশনারি ও বিভিন্ন শপিং মল ঘুরে দেখা যায়, আড়ং, ফ্রার্ম ফ্রেশ, প্রাণসহ আরো কয়েকটি ব্র্যান্ডের ৫০০ গ্রাম টক দই ৯০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে; অথচ এক মাস আগেও ৮০ টাকায় বিক্রি হতো। বিক্রেতারা বলছেন, কম্পানি থেকেই দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন কম্পানির কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা বলেন, দইয়ের দাম বাড়ার কারণ হলো দুধের দাম বেড়ে গেছে। আর দুধের দাম বাড়ার কারণ উৎপাদন ও প্যাকেজিংয়ের খরচ বেড়ে যাওয়া।
মোহাম্মদপুরে সুপার শপ স্বপ্ন ও মীনা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ৫০০ গ্রাম টক দইয়ের দাম ৯০ টাকা। শাহেলা খাতুন স্বপ্ন থেকে অন্যান্য নিত্যপণ্যের সঙ্গে একটি টক দইও কিনেছেন। দামের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করেই দেখি টক দইয়ের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। গত মাসেও তো ৮০ টাকা দরে কিনেছিলাম।’
মীনা বাজারে আরেক ক্রেতা রাশেদা ইয়াসমিন বলেন, রোজার মাসে অনেক খাবারেই টক দই ব্যবহার করা হয়। সেই সুযোগে ব্যবসায়ীরাও দাম বাড়িয়েছেন। কোনো নিয়ম নেই, যখন যার ইচ্ছা ভোগ্য পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেবে। দই তৈরি করতে দুধ ব্যবহার করা হয়। মার্চ থেকে দুধের দাম লিটারে বেড়েছে পাঁচ টাকা। মিল্ক ভিটা প্রতি লিটার ৭৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা জানান, এক মাস আগেও প্রতি লিটার দুধ বিক্রি হতো ৭০ টাকা দরে। এ ছাড়া অন্য ব্র্যান্ডগুলো পাঁচ টাকা করে বাড়িয়েছে।
দুগ্ধশিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দুধের দাম সেই মার্চ থেকেই বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া দুধের দাম সামান্য বাড়াতে দইয়ের দাম বাড়ার খুব একটা যৌক্তিকতা নেই।
তবে মিল্ক ভিটার ব্যবস্থাপনা পরিচালক অমর চান বণিক বলেন, দইয়ের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ হচ্ছে গরুর দুধের দাম বেড়েছে। তরল দুধ সংগ্রহ ও উৎপাদন খরচ বেড়েছে। এ ছাড়া এই সময় দুধের চাহিদা বেশি থাকে। সেই জন্য চাহিদার কারণেও দুধের দাম কিছুটা বেড়েছে।
প্রাণের জেনারেল ম্যানেজার ও জনসংযোগ বিভাগের প্রধান তৌহিদ জামান বলেন, দুধ উৎপাদনে খরচ বেড়েছে প্রতি লিটারে দু-তিন টাকা। অন্যদিকে প্যাকেজিং খরচও বেড়েছে। এ জন্য দুধের দাম বাড়ানো হয়েছে।
ই-ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, কমপানিগুলো তাদের খেয়াল-খুশিমতো ব্যবসা পরিচালনা করছে। এতে ভোক্তাদের সমস্যা হচ্ছে। পণ্যের দাম কমা-বাড়া নিয়ে কোনো নির্দিষ্ট ও কঠোর আইন না থাকার কারণে এই রকম সুযোগ নিচ্ছে কম্পানিগুলো। সরকারের পক্ষ থেকেও কঠোর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। ভোক্তাদের উচিত এই ধরনের পণ্য বর্জন করা। তাহলে কম্পানিগুলো দাম কমিয়ে দেবে।