ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

দুর্ব্যবহারের প্রতিশোধে তানিশাকে খুন

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৭১৬ বার


দুর্ব্যবহারের প্রতিশোধে তানিশাকে খুন

অপরাধ ডেস্ক: তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ব্যবহার করায় চাচাতো বোন তানিশাকে খুন করা হয় বলে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন মাদ্রাসাছাত্র আক্তার হোসেন নিশাত। শুক্রবার রাতে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরাফ উদ্দিন আহমদ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় ওই মাদ্রাসাছাত্র।

জবানবন্দিতে নিশাত বলেন, ছোট বেলায় মারা যায় বাবা। চাচা-জেঠা আর ফুফুসহ আত্মীয়-স্বজনদের সহযোগিতায় চলছিল নিশানের সংসার। প্রতিনিয়ত তাদের প্রতি তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ব্যবহার থেকে ক্ষোভ জন্মাতে থাকে তার মধ্যে। এর শোধ নিতেই চাচাতো বোন তানিশাকে খুন করা হয়।

জেলা পুলিশ সুপার পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী পিপিএম শনিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, খুব অল্পসময়ের মধ্যে এ হত্যাকাণ্ডের চার্জশিট দেওয়া হবে।
আদালতের জবানবন্দিতে নিশান বলেন, তার বাবা জীবিত না থাকায় ও তারা দরিদ্র হওয়ায় চাচার পরিবার তার বাবার সব সম্পদ গ্রাস করে নিয়েছে। নিয়মিত তাদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করতো। একটু সুযোগ পেলেই কটু কথা বা গালমন্দ করা হতো।

এনিয়ে দীর্ঘদিন থেকে তার মনে ক্ষোভ জমেছিল। তানিশার ভাই মসজিদে ‘ইতেকাফে’ থাকায় বৃহস্পতিবার রাতে তাকে মসজিদে ভাত পৌঁছে দিতে বলে। সে ভাত নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে পথে অন্য একজনকে ওই ভাত পৌঁছে দিতে বলে-আবার বাড়ি ফিরে যায়। তখন ঘরে ছিল তানিশা ও তার দাদি।

এ সুযোগে তাদের ঘরে ঢুকে তানিশার হাত ও মুখ বেঁধে ফেলে। টানা-হেঁচড়া করে তাকে ছাদের সিঁড়ি কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে একপর্যায়ে তানিশা হাত খুলে যায়। আবার হাত-মুখ বেঁধে তাদের রান্না ঘর থেকে ছোরা নিয়ে গলায় কোপানো হয়। পরে ছাদের এক পাশে একটি গাছ বেয়ে নিচে নেমে নিজের ঘরে চলে যায়। কিন্তু সিঁড়িতে তার স্যান্ডেল ফেলে যাওয়ার কথা তখন ভুলে যায়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেনী মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই ইমরান হোসেন জানান, নিহতের গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও রশি প্যাঁচানো ছিলো। ছাদে মৃতদেহের পাশেই পড়ে ছিল নিশানের জুতা। বৃহস্পতিবার রাতেই তাকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত একটি ছোরাও উদ্ধার করা হয়।

তদন্তের স্বার্থে তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন চাঞ্চল্যকর এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদালতের আদেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে নিহত তানিশা ইসলামের ভাই আশরাফুল ইসলাম ফেনী থানায় মো. আক্তার হোসেন নিশানসহ (১৫) অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিগণের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দায়ের করেন।


   আরও সংবাদ