ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৭১৯ বার
অপরাধ: বাসা ভাড়া নিয়ে সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে বাড়িওয়ালাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অজ্ঞান করে তার স্ত্রী হোসেনে আরা বেগমকে (৬৪) হত্যা করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায় ভাড়াটিয়া। নারায়ণগঞ্জে সোনারগাঁয় থানার কাউচর এলাকায় চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গ্রেফতাররা হলেন- হারুন অর রশীদ (২৪) ও তার স্ত্রী সুলতানা খাতুন (২৫)।
বুধবার (১২ মে) দুপুরে সিআইডি সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. ইমাম হোসেন।
তিনি বলেন, কাউচর এলাকায় গত ৮ মে রাতে বাড়ির মালিক আজিম উদ্দিনকে চা-বিস্কুটের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ায় অভিযুক্তরা। এতে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। এরপর আজিম উদ্দিনের স্ত্রী হোসেনে আরা বেগমকে মুখে গামছা ঢুকিয়ে এবং মুখে স্কচ টেপ পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর তাদের ঘর থেকে নগদ দুই লাখ টাকা ও তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যান হারুন ও সুলতানা।
এ ঘটনায় পরের দিন সোনারগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা (নম্বর-০৯) করা হয়।
সিআইডি কর্মকর্তা ইমাম হোসেন বলেন, গ্রেফতার হারুন অর রশীদ লেখাপড়া করেছেন আটরশির একটি মাদরাসায়। তিনি সেখানে পড়াতেন এবং ধর্মীয় শিক্ষা দিতেন। করোনার কারণে চাকরি হয়ে সোনারগাঁও এলাকার কাউচর গ্রামে একটি কারাখানায় কাজ নেন এবং হোসেনে আরা বেগমের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে ওঠেন। সেখানে তার সঙ্গে সুমন ও শিপন নামে দুই ব্যক্তির পরিচয় হয়। হোসনে আরা বেগমের ওই বাড়িতে ২৪টি রুম ছিল। তার আরও তিনটি বাড়ি রয়েছে।
নিহত হোসনে আরা দীর্ঘদিন প্রবাসে থেকে কিছুদিন আগে দেশে এসেছেন। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী অভিযুক্তরা তার স্বামীকে ঘুমের ওষুধ মেশানো চা-বিস্কুট খেতে দেয়। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে ওইদিনের পরিকল্পনা তাদের ভেস্তে যায়। পরে আবারও আজিম উদ্দিনকে চা-বিস্কুটের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অজ্ঞান করে হোসেনে আরাকে হত্যা করে।