ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬৭২ বার
রাজনীতি: পিরোজপুরে দুই ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ওসি ও দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। শনিবার রাতে সদর উপজেলার কদমতলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ১০ জনকে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন— স্বতন্ত্র প্রার্থী (আনারস প্রতীক) মো. সিহাব হোসেন, তার কর্মী হাসান শেখ, হাফিজ শেখ, সাঈদ শেখ, ইয়াসিন মোল্লা, মো. আজমীর খান, মো. রিয়াজুল শিকদার, মো. ইমাম শেখ, শেখ মো. ফারুক মো. শহিদুল ইসলাম, মুনান শেখ আহত হয়েছেন।
এ ছাড়া অপর পক্ষের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো. হানিফ খান, তার সমর্থক মিজান শেখ, মামুন খান, লিটন খান তন্ময় গাজী, তাজুল ইসলাম গাজীসহ নয়জন আহত হয়েছেন। জানা গেছে, উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. হানিফ খান এবং একই ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সিহাব হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
এতে থানার ওসি মো. সোবাহান হোসেন ও এক পুলিশ সদস্যসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। পিরোজপুর সদর থানার ওসি আ জ ম মাসুদুজ্জামান মিলু জানান, সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে সংঘর্ষ চলাকালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে ইটপাটকেল নিক্ষেপে থানার ওসি মো. সোবাহান হোসেন ও এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী আহত মো. আজমির খান বলেন, রাত সোয়া ৮টার দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সিহাব হোসেন কদমতলা বাজার জামে মসজিদে এশার নামাজ আদায় করতে যান। সেখানে আমরা কিছু লোক তার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এ সময় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. হানিফ খানের নেতৃত্বে ৩০ জন আগ্নেয়াস্ত্রসহ হাতে দা, লোহার রড নিয়ে আমাদের ওপর গুলি ও বোমা হামলা করে। এ সময় কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে তারা।
এ সময় আমরা চিকিৎসা নিতে জেলা হাসপাতালে যেতে চাইলে হামলাকারীরা আমাদের পথ আটকে বাধা দেয়। আহতদের তাই নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. হানিফ খান এ হামলায় তার সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে জানান, আমি ওই রাতে কদমতলা বাজারে থাকা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে কর্মীদের নিয়ে কথা বলছিলাম। এমন সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সিহাব হোসেনের নেতৃত্বে তার ২৫-৩০ কর্মী এসে আমার কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমার আট কর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।