ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

৪৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৭১৩ বার


 ৪৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব

অর্থনীতি ডেস্ক: এক্ষেত্রে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা তাদের প্রয়োজনমতো যতটা চাহিদা দিয়েছে আমরা চেষ্টা করেছি ততটাই বরাদ্দ নিশ্চিত করতে। কেননা পদ্মা সেতুর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এটির যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিশেষ গুরুত্বের তালিকায় আছে মেট্রোরেলসহ অন্য বড় প্রকল্পগুলোও। আগামী অর্থবছরের বাজেটে পদ্মা সেতুসহ বড় ১০ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ প্রস্তাব করা হচ্ছে ৪৩ হাজার ৪৭৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। এসব প্রকল্পের অনুকূলে চলতি অর্থবছরে সংশোধিত বরাদ্দ ছিল ৩১ হাজার ৫০৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে তুলনামূলক বরাদ্দ বাড়ছে ১২ হাজার ৩৭৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা। সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প। সর্বনিু পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দরের আনুষঙ্গিক কাযক্রম প্রকল্পে বরাদ্দ ধরা হয়েছে।

অন্য প্রকল্পগুলো হলো-পদ্মা সেতু, মেট্রোরেললাইন ৬, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্প, কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, সাপোর্ট টু ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রজেক্ট, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ এবং দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে গুনদুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় এই বরাদ্দ প্রস্তাব জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠকে উপস্থাপন করা হচ্ছে আজ মঙ্গলবার।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী ও এনইসি চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠকে আগামী অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি ১৪ লাখ টাকার এডিপি উপস্থাপন করা হচ্ছে। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, ফাস্ট ট্র্যাকভুক্তসহ বড় যেসব প্রকল্প উন্নয়নের অন্যতম মাইলফলক, সেসব প্রকল্পে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে আগামী বাজেটে। বর্তমানে চলছে করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ। কিন্তু বড় প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন কাজ চলছে বিশেষ ব্যবস্থায়। আগামী অর্থবছরের এডিপিতে এসব প্রকল্পের অনুকূলে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়ার প্রস্তাব করা হবে।

এক্ষেত্রে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা তাদের প্রয়োজনমতো যতটা চাহিদা দিয়েছে আমরা চেষ্টা করেছি ততটাই বরাদ্দ নিশ্চিত করতে। কেননা পদ্মা সেতুর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এটির যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিশেষ গুরুত্বের তালিকায় আছে মেট্রোরেলসহ অন্য বড় প্রকল্পগুলোও।


   আরও সংবাদ