বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬৩৯ বার
অর্থনীতি: চলতি মে মাসের শুরুতেই লিটারে দুই টাকা বাড়িয়ে ভোজ্যতেলের দাম সর্বোচ্চ ১৪১ টাকা (বোতলজাত) নির্ধারণ করেছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তখন মিল মালিকদের দাবি ছিল প্রতি লিটার ১৪৪ টাকা নির্ধারণের। তবে রমজান মাস বিবেচনায় তখন ব্যবসায়ীদের ধৈর্য ধরতে বলেছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও টিকে গ্রুপের পরিচালক মোস্তফা হায়দার বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ভোজ্যতেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে অনেক কম।
দাম না বাড়ালে ব্যবসায়ীরা নতুন করে এলসি খুলতে পারবে না। তাহলে সামনে কোরবানির ঈদে একটা সঙ্কট দেখা দিতে পারে। দাম কত বাড়ানো উচিৎ- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করে বিশ্ববাজারের সঙ্গে মিল রাখতে হলে প্রতি লিটারে ১৫ টাকা করে বাড়ানো উচিৎ। আমরা অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে থেকে মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি দিয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। সেখানে একটি দাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এখন মন্ত্রণালয় থেকে কী সিদ্ধান্ত আসে সেটা দেখার অপেক্ষায় রয়েছি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব জাফর উদ্দিন বলেন, বিশ্ববাজারেও তেলের দাম নতুন করে বেড়েছে। সেই বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে মন্ত্রণালয় তাদের (ব্যবসায়ীদের) প্রস্তাব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। অচিরেই একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, গত এক বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম প্রায় ১৬০ শতাংশ বেড়েছে। বিপরীতে দেশের বাজারে দাম বেড়েছে ৩৫ শতাংশ। সেই হিসাবে দেশের বাজারে আরেক ধাপে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা রয়েছে।
তিনি জানান, এক বছর আগে আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম ছিল প্রতি কেজি ৫২ টাকা ১১ পয়সা; বর্তমানে সেই দাম ১৩৫ টাকা ৮৪ পয়সা। আর দেশীয় বাজারে সর্বশেষ মূল্য ১৩০ টাকা। এক বছর আগে দেশে ভোজ্য তেলের দাম ছিল ৮৮ থেকে ৯৩ টাকা। বর্তমানে মিলগেইটে সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১১৫ টাকা ৭০ পয়সা বা প্রতিকেজি ১২৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুই সপ্তাহ আগে লিটারে একটাকা করে বাড়লেও তা আবার কমেছে।
ব্যবসায়ীরা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার এখন ঊর্ধ্বমুখী। সেপ্টেম্বরের দিকে আমেরিকার বাজারে নতুন মওসুমের সয়াবিন তেল আসবে। জুলাইয়ের দিকে মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়া অঞ্চলে পাম তেলের নতুন পণ্য আসবে। এই দুটি বাজারই ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভোজ্যতেলের দাম কমাতে ভূমিকা রাখতে পারে।