ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৩৫ বার
ঝিনাইদহ প্রতিবেদক- ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নের কনেজপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে বর্ষা খাতুন (১৮) খাতুনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শ্বশুর বাড়ির লোকজন দাবী করছে সে আত্মহত্যা করেছে। অন্যদিকে বর্ষার পিতার দাবী তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। সরেজমিন পরিদর্শনে জানা গেছে, ১০ মাস আগে পারিবারিকভাবে বর্ষার বিয়ে হয় একই উপজেলার সুরাট ইউনিয়নের রতনহাট গ্রামের ইদ্রিসের ছেলে শাকিল হোসেনের সাথে। শাকিল পেশায় একজন স্যানিটারি মিস্ত্রী। বিয়ের পর থেকে বর্ষা খাতুনের পরিবারে যৌতুকের দাবি করে আসছিল শাকিল।
গত শুক্রবার দুপুরে স্বামী শাকিল হোসেনের বসত ঘরে লাশ হয় বর্ষা। স্থানীয়রা জানান, যেভাবে রশি বাঁশের সাথে বাঁধা হয়েছে তাতে কোন ব্যক্তি এভাবে আত্মহত্যা করতে পারে না। রশি বুক সমান নিচে নামানো ছিল। গলাই রশি দিয়ে আত্মহত্যা করলে এভাবে মারা যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না বলে অভিযোগ করেন বর্ষার খালু আকুল হোসেন। তিনি জানান বর্ষাকে হত্যা করা হয়েছে। তার মুখে দাগ দেখা গেছে। বর্ষার মৃত্যুর ঘটনায় আমাদের কাউকে জানানো হয়নি। আমরা লোক মাধ্যমে জানতে পেরে এখানে এসেছি।
তিনি আরও বলেন, বর্ষা খাতুনের মৃত্যুর পর থানায় দেওয়া অভিযোগে পেটে ব্যাথার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু তার কোন রোগ ছিল না। গলাই কাপড় পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন। এ ব্যাপারে সদর থানার এস আই ইয়াছির আরাফাত শনিবার বিকালে জানান, এ ঘটনায় লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সকালে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্টে জানা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।