ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৮৫২ বার
রাজনীতি ডেস্ক: হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী নেতৃত্বে গঠিত আহ্বায়ক কমিটি বৈধ নয় বলে মন্তব্য করেছেন মুন্সিগঞ্জের জামি’আ ইসলামিয়া হালীমিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম ও মধুপুরের পীর মাওলানা আবদুল হামিদ। তিনি হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির নায়েবে আমির পদে ছিলেন। মাওলানা আবদুল হামিদ গত ২৮ মে একটি ঘোষণাপত্রে হেফাজতের প্রয়াত আমির আহমদ শফীর নীতি আদর্শে অবিচল থাকারও ঘোষণা দেন। সোমবার (৩১ মে) এ ঘোষণা দেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন মাওলানা আবদুল হামিদ।
হেফাজতের ডাকা হরতালে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় মধুপুর পীর আবদুল হামিদের নেতৃত্বে সড়কে অবস্থান নিয়েছিল হেফাজতে ইসলামের নেতা–কর্মীরা। সেখানে আওয়ামী লীগ ও হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় মধুপুর পীর আবদুল হামিদ আহত হন।
ঘোষণাপত্রে মাওলানা আবদুল হামিদ বলেন, আমি শাইখুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফীর নীতি ও আদর্শের ওপর অবিচল আছি এবং আজীবন থাকব। আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করছি, হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির প্রতিও আমার কোনও সমর্থন নেই। এই কমিটিকে আমি বৈধ মনে করি না। আমি হেফাজতে ইসলামের মোদিবিরোধী কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জের মধুপুরে অপ্রত্যাশিত ঘটনাবলীর জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। বিশেষ করে আমার অত্যন্ত স্নেহভাজন মেজর জেনারেল আবুল কালাম হুমায়ুনের মা আহত হওয়ার খবর শুনে অত্যন্ত দুঃখিত ও ব্যথিত হয়েছি। বিশেষ করে মেজর জেনারেল সাহেবের বাড়িঘরসহ অন্যান্যদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, মধুপুরের পীর মাওলানা আব্দুল হামিদ বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নেতা। ২০১৮ সালের ২২ নভেম্বর ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল ইসলামী ঐক্যজোট ছাড়েন। নির্বাচনে আসন বণ্টনকে কেন্দ্র করে ইসলামী ঐক্যজোট নেতাদের সঙ্গে বিরোধ হয় মাওলানা আব্দুল হামিদের । তিনি মুন্সীগঞ্জ-১ আসন থেকে নির্বাচন করতে আগ্রহী ছিলেন। তবে ইসলামী ঐক্যজোটের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি আসন বণ্টনের তালিকা থেকে বাদ পড়েন মাওলানা আব্দুল হামিদ। এ কারণে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে দলটি ত্যাগ করেন।
ইসলামী ঐক্যজোটে যোগ দেওয়ার আগেও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি। আব্দুল হামিদ হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির নায়েবে আমির। তিনি একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক খতমে নবুয়ত সংরক্ষণ কমিটির আমির।