ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬৩৩ বার
লিয়াকত হোসাইন লায়ন, জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের ইসলামপুরে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে মাতৃত্বকালীন ভাতা আত্বসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার কুলকান্দি ও বেলগাছা ইউনিয়নের নদী ভাঙ্গন হতদরিদ্র পনেরোজন মা ভাতার টাকা না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ কারীরা হলেন- ফরিদা,মরজিনা,হাজেরা,শাহানা,অমিছা,রত্না,শাহিদা,লিমা,আসমা,সাদিয়া,মিনা,শিরিনা,মমতা,রেবেকা,হালিমা,মোছাঃ নুরী ও করিমন।
অভিযোগে তারা জানান- ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে তাদের নাম মাতৃত্বকালীন ভাতায় চড়ান্তভাবে তালিকা ভ’ক্ত হয়। ২০১৬-১৮ তারা প্রতিমাসে ৫শত টাকা করে ২বছর ১২হাজার টাকা তারা উত্তোলন করেন। পরবর্তীতে ভাতা প্রাপ্তির মেয়াদ ১বছর বৃদ্ধি হলে প্রতি মাসে অতিরিক্ত ৮শত টাকা হিসেবে ১বছরের ৯হাজার ৬শত টাকা ৬এপ্রিল সোনালী ব্যাংক ইসলামপুর তারা উত্তোলন করতে আসেন। লাইন ধরে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের একাউন্টে কোন টাকা নাই বলে জানান। অভিযোগে-ভাতাভোগীরা তাদের ভাতা প্রদানের দাবী জানান।
মহিলা বিষয়ক অফিস সুত্রে জানা যায়- উপজেলায় ১২টি ইউনিয়নে চড়ান্তভাবে ৯৬০জন মা ভাতা তালিকা ২বছরের জন্য জনপ্রতি ৫শত টাকা হারে অন্তভ’ক্ত হয়। সরকার পরবর্তীতে অতিরিক্ত ১বছর বৃদ্ধি করে জনপ্রতি ৮শত টাকা হারে নির্ধারন করে ভাতা প্রদানের নির্দেশ দেন। সরেজমিনে জানাযায়,দুই বছর ভাতা ঠিকভাবে পেলেও উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ৪৫৮জন উপকারভোগীর অতিরিক্ত ৮শত টাকা হিসেবে ১বছরের টাকা ব্যাংক থেকে গায়েব হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এড.জামাল আব্দুন নাছের বাবুল জানান, মাতৃত্বকালীন ভাতার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নিকট জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মাজহারুল ইসলাম জানান- এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তিনি প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। প্রতিবেদনটি উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠিয়েছি। উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কামরুন্নাহার স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে জানাযায়- টাঙ্গাইলের সখিপুর উপ-পরিচালক তৎকালীন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মেহেরুন্নেছা মনি কর্তৃক স্বাক্ষরিত স্লিপের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ভাতা বিতরণ করা হয়। মাদারগঞ্জ উপজেলায় কর্মরত তৎকালীন অফিস সহকারী মোশারফ হোসেন সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকতাদের সহযোগীতায় উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ৯৬০জন ভাতাভোগীদের মধ্য ৫০২জন ভাতাভোগী ৯হাজার ৬শতটাকা হারে ৪৮লাখ ১৯হাজার২শত টাকা উত্তোলন করেছেন। বাকী ৪৫৮জন উপকারভোগী (২০১৮-১৯)অর্থবছরের ৯৬০০টাকা হারে ৪৩লাখ ৯৬হাজার ৮শত টাকা ভ’য়া ভাতাভোগীর মাধ্যমে উত্তোলন করে আত্বসাত করেন।
এ ব্যাপারে ব্যাংক ম্যানেজার রবিউল ইসলামের কাছে জানলে চাইলে তিনি জানান-মহিলা বিষয়ক অফিসের লোক ভাতাভোগীদের শনাক্ত করায় টাকা বিতরণ করা হয়েছে।