ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬৭১ বার
সাপাহার(নওগাঁ)প্রতিনিধি: নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলার সীমান্তবর্তি কলমুডাঙ্গা বলদিয়াঘাট ব্রীজ হতে চকচকির মাঠ পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার উন্নয়ন না হওয়ায় ওই এলাকার প্রায় ৫/৬টি গ্রামের কৃষক সাধারন কে বছরের পর বছর ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
উপজেলার ৫ নং পাতাড়ী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বলদিয়াঘাট ব্রীজের পশ্চিম প্রান্ত হতে সীমান্ত সংলগ্ন চকচকির মাঠে যাওয়ার একমাত্র গ্রামীণ রাস্তাটির উপর বর্তমানে বড় বড় গর্ত ও কাদাপানির নর্দমায় পরিনত হয়েছে। পাতাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চলতি অর্থ বছরে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা ব্যায়ে রাস্তাটির মাটি ভরাট কাজ করা হলেও অতি বর্ষনের ফলে রাস্তায় খানাখন্দকের সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখিত রাস্তাটি দিয়ে এলাকার কৃষক সাধারন গরু মহিষের গাড়ী,ভ্যান, পাওয়ার টিলার ও ট্রাক্টর দিয়ে চকচকির মাঠ ও আশেপাশের মাঠ থেকে তাদের জমির ফসল ঘরে তোলার কাজ করে থাকে। বিশেষ করে চলতি বোরো মৌসুমে ঘন ঘন বৃষ্টিপাত হওয়ায় রাস্তার উপর গর্তে পানি জমে গেলে সেখানে কাদা ও নর্দমা তৈরী হয়েছে। রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হওয়ায় চকচকির মাঠ,বসুমিধা,হাপানিয়া,কৃষ্নসদা ,মাঠে উৎপাদিত হাজার হাজার বিঘা জমির বোরো ধান মাঠের মধ্যে গাদা(পালা) করে ফেলে রাখা হয়েছে। এলাকাবাসীর মাঠের ফসল ঘরে তুলতে না পেরে অত্যান্ত দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। মাঠে গাদা (পালা) দেয়া ধান গুলো দফায় দফায় বৃষ্টিতে ভিজে ইতোমধ্যে পঁেচ যাচ্ছে। এলাকার ভুক্তভোগী কৃষক সাধারণ ওই রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানিয়ে আসছে।
কলমুডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল করিম বিশ্বাস,বলদিয়াঘাটের সমাজসেবী মোঃ আব্দুল লতিফ,সিরাজুল ইসলাম,আনারুল মাস্টার,তোফাজ্জুল হোসেন, মনিরুল,আতাউর রহমান,সাবেক ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলাম,আরিফ হোসেন সহ মঠের অনেক কৃষক বলেন, শুধু রাস্তাটির জন্য বর্তমানে আমরা চরম বেকায়দায় পড়ে আছি। রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে যাওয়া কঠিন। কোন প্রকার যানবাহন চলাচলের উপায় নাই। কেবল মাত্র দেড় কিলোমিটার ওই রাস্তা এলাকাবাসীর জন্য মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। এবিষয়ে ৫নং পাতাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুকুল মিঞা এ প্রতিনিধিকে বলেন,রাস্তার বিষয়টি সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয় কে জানানো হয়েছে।
গত মঙ্গলবার সকালে সাপাহার উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহাজাহান হোসেন মন্ডল কে সাথে নিয়ে সরজমিনে ওই রাস্তার অবস্থা দেখানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় পাতাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে ওই মাঠের ধানগুলো ঘরে তোলার লক্ষে এলাকাবাসীর সেচ্ছা শ্রমে রাস্তায় জমে থাকা কাদামাটি সরিয়ে সেখানে বেশ কয়েকটি ট্রাক্টর দিয়ে নদী থেকে বালি এনে ভরাট করা হচ্ছে। রাস্তার যেখানে বেশি কাদামাটি বা গর্ত আছে সেখানে বালির সাথে ইট খোয়া মিশিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। দু এক দিনের মধ্যে চলাচলের উপযোগী হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন ওই রাস্তাটির উন্নয়নের জন্য (পাকা করন) তিনি ইতিমধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উচ্চপর্যায়ে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন।