নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৭০ বার
সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি, নওগাঁর সাপাহারে জমিজমা সংক্রান্ত বিবাদ কে কেন্দ্র করে বাগানের আম চুরি ও চাঁদা দাবীর অভিযোগে নিরিহ লোকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগে জানাগেছে উপজেলার গোয়ালা ইউনিয়নের ফজিলা পুর মৌজায় অবস্থিত একটি খাস খতিয়ান ভুক্ত পুকুর ও পুকুর পাড় নিয়ে স্থানীয় আদল পুর ,ফজিলাপুর এলাকার লোকজনের সাথে পোরশার জৈনক নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির বিবাদ চলে আসছিল। ওই মৌজার স্থায়ী বাসিন্দা হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনরা বিবাদমান পুকুরে মাছ চাষ ও পাড়ে অবস্থিত আম গাছগুলিতে মুকুল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত পরিচর্যাও করে আসছিল। ঘটনার দিন গত ৩০ মে নজরুল ইসলামের লোকজন জোর করে ওই পুকুর পাড়ে আম পাড়তে গেলে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের নিযুক্ত বাগান পাহারাদার গ্রামে এসে সংবাদ দেয়।
এসময় গ্রামের লোকজন সেখানে গিয়ে তাদেরকে আম পাড়তে বাধা প্রদান করে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে নজরুল ইসলাম ওই গ্রামের ২২জন বাসিন্দা সহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫/২০ জনকে আসামী করে আড়াই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী সহ বাগানের ১০০শ’মন আম চুরির অভিযোগ এনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
গোয়ালা ইউনিয়ন আওয়ামীগের সভাপতি কামরুজ্জামান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ওই গ্রামের বাসিন্দা লখাই মাষ্টার সহ গ্রামবাসীরা দাবী করে বলেন যে, মামলা দায়েরের পর পুলিশ এলাকার কতিপয় চিহিৃত লোকজন কে সোর্স হিসেবে সাথে নিয়ে ওই গ্রামের নিবারন বর্মন, দিলিপ বর্মন, ভুলু বর্মন, বিজয় বর্মন সহ প্রায় ১০টি বাড়ীর দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে তল্লাশী চালায় ও বাড়ির লোকজন কে অকথ্য ভাষায় গালিগাজ করে। এসময় কোন বাড়ীতে আসামী না পেয়ে মামলত হোসেন (৫২) এর বাড়ী হতে তাকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়।
উল্লেখ্য যে বিবাদমান ওই সম্পত্তির বাগান থেকে আম চুরির অভিযোগে মামলা দায়ের হলেও সরেজমিনে গিয়ে ওই বাগানে অজস্র আম দেখা গেছে। বর্তমানে কতিথ ওই মিথ্যা আম চুরি ও চাঁদাবাজী মামলায় আসামী হয়ে ওই গ্রামের অসহায় পুরুষ লোকজন পুলিশের ভয়ে এখন গ্রাম ছাড়া । এবিষয়ে সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারেকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন যে তারা নিজেদের বাড়ির দরজা নিজেরাই ভেঙ্গে পুলিশের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করেছে। উল্লেখিত ঘটনার তদন্ত স¦াপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।