ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৮৬২ বার
অর্থনীতি ডেস্ক: যুমনা নদীর ওপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতু হতে এ পর্যন্ত ছয় হাজার ৪৩৪ কোটি ৩ লাখ টাকা টোল আদায় করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আগামী ২০৩৪ সালে এ সেতুর জন্য নেওয়া উন্নয়ন সহযোগীদের ঋণ পরিশোধ হবে বলেও মন্ত্রী জানান। রবিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে বগুড়া-৫ আসনের হাবিবর রহমানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিনের সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
ওই সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পর হতে এ পর্যন্ত ছয় হাজার ৪৩৪ কোটি ৩ লাখ টাকা টোল আদায় হয়েছে। এ সময়ে সেতুর পরিচালন, রক্ষণাবেক্ষণ ও ডিএসএল পরিশোধবাবদ ব্যয় হয়েছে চার হাজার ১০৪ কোটি ২১ লাখ টাকা।
মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে ৯৯ লাখ টাকা, ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে ৬১ কোটি ২৭ লাখ টাকা, ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছরে ৬৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, ২০০০-২১ অর্থবছরে ৮২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, ২০০১-০২ অর্থবছরে ৯৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা, ২০০২-০৩ অর্থবছরে ১০৮ কোটি ৭২ লাখ টাকা, ২০০৩-০৪ অর্থবছরে ১৩১ কোটি ৮ লাখ টাকা, ২০০৪-০৫ অর্থবছরে ১৫২ কোটি, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে ১৫৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা, ২০০৬-০৭ অর্থবছরে ১৭৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, ২০০৭-০৮ অর্থবছরে ২০১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ২১৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা, ২০০৯-১০ অর্থবছরে ২৪২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা, ২০১০-১১ অর্থবছরে ২৬৯ কোটি ১০ লাখ টাকা, ২০১১-১২ অর্থবছরে ৩০৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৩২৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৩২৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৩৫১ কোটি ১৪ লাখ টাকা, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৪০৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৪৮৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৪৮৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৫৪৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৫৭৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৫৬০ কোটি ২৮ লাখ টাকা এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে (মে/২০২১ পর্যন্ত) ৫৯৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা টোল আদায় হয়েছে।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৮ সালে সমাপ্ত বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্মাণ ব্যয় তিন হাজার ৭৪৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আদায়কৃত অর্থ থেকে সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়সহ সেতুর নির্মাণে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহের ঋণ পরিশোধ করা হয়। তবে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে যাওয়ায় Amortization Schedule অনুযায়ী উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহ হতে নেওয়া ঋণ সেতু হতে আদায় করা টোলের মাধ্যমে ২০৩৪ সাল নাগাদ পরিশোধ সম্পন্ন হবে।’