ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

চলমান লকডাউনের কারণে মিলছে না ক্রেতা

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৮১৪ বার


চলমান লকডাউনের কারণে মিলছে না ক্রেতা

অর্থনীতি ডেস্ক: গাজীপুরের পাঁচ উপজেলায় গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে জাতীয় ফল কাঁঠাল। তবে জেলার শ্রীপুর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি কাঁঠালের চাষ হয়। এ উপজেলার মানুষের অন্যতম লাভজনক অর্থকারী ফসল কাঁঠাল। শ্রীপুরের কাঁঠালের খ্যাতি দেশজুড়ে। এখানকার কাঁঠাল যায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। গত বছরের তুলনায় এবার কাঁঠালের ফলনও ভালো হয়েছে। প্রতি বছরে এ মৌসুমে চাষীরা কাঁঠাল ব্যবসায়ীদের কাছে আগাম টাকা নিয়ে কাঁঠাল বিক্রি করেন। এদিকে স্থানীয় বাজারে কাঁঠাল আসা শুরু হলেও চলমান লকডাউনের কারণে মিলছে না তেমন ক্রেতা। বাইরের ব্যবসায়ীরা তেমন না আসায় অনেক চাষী বাগানসহ কাঁঠাল বিক্রি করতে না পেরে শঙ্কিত। এবার অনেক এলাকায় লকডাউনের কারণে কাঁঠাল বিক্রি নিয়ে শঙ্কিত তারা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের শ্রীপুরে প্রায় তিন হাজার হেক্টর জাতীয় ফল কাঁঠাল বাগান। উপজেলার বেশির ভাগ গ্রামে কাঁঠাল বাগান রয়েছে। রাস্তার দুপাশে সারি সারি কাঁঠাল গাছ, আবার কারো কারো পুরো জমিতেই কাঁঠাল বাগান। গাছের গোড়া থেকে শুরু করে ডালপালায় ছড়িয়ে রয়েছে কাঁঠাল। এমন দৃশ্য চোখে পড়ে শ্রীপুরের প্রায় বাড়ির আঙিনাসহ মাঠ ও পথে-প্রান্তরে।

শ্রীপুর উপজেলা বদনী ভাঙ্গা গ্রামের কাঁঠাল বাগান মালিক আব্দুস সালাম জানান, তার একটি বাগানে প্রায় চার বিঘা জমির ওপর কাঁঠাল গাছ রয়েছে। প্রতি বছরের ৮০-৯০ হাজার টাকার কাঁঠাল বিক্রি করেন। গত বছরের ন্যায় এ বছরও প্রত্যেকটি গাছে প্রচুর কাঁঠাল ধরেছে। বর্তমানে বাগানের দাম উঠছে ৫০-৬০ হাজার টাকা। একই গ্রামের কাঁঠাল বাগান মালিক মনিরুজ্জামান মাস্টার বলেন, তার কাঁঠালের তিনটি বাগান রয়েছে। প্রতি বছর তিনি প্রায় ২ লাখ টাকার কাঁঠাল বাগান বিক্রি করেন। ফলন ভালো হওয়ায় এবার গত বছরের চেয়ে বেশি দাম পাওয়ার আশা করছেন, কিন্তু কাঁঠাল ব্যবসায়ী না পাওয়ায় হতাশায় রয়েছেন তিনি।

শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের বারতোপা গ্রামের বাগান মালিক ফাইজুদ্দিন জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর বাগানে অনেক বেশি কাঁঠাল ধরেছে। তিনি প্রতি বছর প্রায় ৩ লাখ টাকার কাঁঠাল বাগান বিক্রি করেন। এ বছর কাঁঠাল বিক্রি করার মতো তেমন ব্যবসায়ীও খুঁজে পাচ্ছেন না, অনেকেই আছেন প্রতি বছরই প্রায় এক থেকে দেড় লক্ষাধিক টাকার কাঁঠাল বিক্রি করেন। অনেকেই কাঁঠালের টাকা দিয়ে তাদের সারা বছর সংসারের খরচ জোগায়, এ বছরও ফলন বেশ ভালো হয়েছে। একদিকে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব, অন্যদিকে জেলায় জেলায় লকডাউনের কারণে কাঁঠাল নিয়ে বিপাকে বাগান মালিকরা। গত বছরের তুলনায় এ বছর কাঁঠাল বাগানের দাম ব্যবসায়ীরা অনেক কম বলছে বলে তারা জানান।


   আরও সংবাদ