ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৭৬১ বার
অর্থনীতি ডেস্ক: আইপি-সংক্রান্ত জটিলতা কাটিয়ে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৩ জুন পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। এরপর সাতদিনে ১২৮ ট্রাকে ৩ হাজার ৪৮৪ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। প্রতিদিনই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বাড়ছে। অন্যদিকে একদিনের ব্যবধানে স্থলবন্দরে পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে।
বন্দরসংশ্লিষ্টদের দেয়া তথ্যমতে, ৩ জুন বন্দর দিয়ে চার ট্রাকে ৯৫ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে, ৫ জুন নয় ট্রাকে ২১৩, ৭ জুন ১৫ ট্রাকে ৩৯৭, ৮ জুন ২২ ট্রাকে ৫৮৫, ৯ জুন ২৭ ট্রাকে ৭৪১ ও ১০ জুন ৩৬ ট্রাকে ১ হাজার ৩৫ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। সর্বশেষ গত শনিবার ১৫ ট্রাকে ৪১৮ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়।
হিলি স্থলবন্দর ও বিভিন্ন আমানিকারকদের গুদাম ঘুরে দেখা গেছে, বন্দর দিয়ে ইন্দোর ও নাসিক জাতের পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। একদিন আগেও এসব জাতের প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩০-৩২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে দাম কমে ২৭-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সে হিসেবে কেজিপ্রতি দাম কমেছে ২-৩ টাকা করে।
হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকার ইসরাফিল হোসেন বলেন, হিলি স্থলবন্দর থেকে পেঁয়াজ কিনে চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করি। কিন্তু দীর্ঘ এক মাস ধরে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় আমরা সংকটে পড়েছিলাম। সম্প্রতি আবারো বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। ফলে আমরা হিলি স্থলবন্দরে এসেছি পেঁয়াজ কিনতে। আমার মতো দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আরো অনেক পাইকার এসেছেন। পেঁয়াজের দাম আগের চেয়ে কম থাকায় আমাদের কিনতে যেমন সুবিধা হয়েছে তেমনি মোকামে ভালো চাহিদা থাকায় ব্যবসাও ভালো হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, পেঁয়াজ আমদানির জন্য ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) নিয়ে যে জটিলতা ছিল এরই মধ্যে সেটি কেটে গেছে। পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল করতে সরকার নতুন করে ব্যাপক পরিমাণে পেঁয়াজের আইপি ইস্যু করেছে। এতে হিলিসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে ৩ জুন পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। এর পরই পণ্যটির দাম কমতে শুরু করে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, আইপি শেষ হয়ে যাওয়ায় গত ২৯ এপ্রিল থেকে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। সম্প্রতি আবারো আমদানিকারকরা আইপি পাওয়ায় আমদানি শুরু হয়েছে। প্রথম দিকে আমদানির পরিমাণ কিছুটা কম থাকলেও ধীরে তা বাড়তে শুরু করেছে।