ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬৯৮ বার
আইন আদালত: চিত্রনায়িকা পরীমণিকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ (৫০) ও অমিসহ (৩০) পাঁচজনের বিরুদ্ধে এবার মামলা হয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে।
গতকাল সোমবার (১৫ জুন) দিবাগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এ মামলাটি দায়ের করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। মাদক মামলার অন্য আসামিরা হলেন নাসির উদ্দিন মাহমুদের দুই রক্ষিতা লিপি আক্তার (১৮) ও সুমি আক্তার (১৯) এবং অমির গার্লফ্রেন্ড নাজমা আমিন স্নিগ্ধা (২৪)।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিমানবন্দর থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মশিউর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের গুলশান জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মানিক কুমার সিকদার বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে মাদক মামলাটি দায়ের করেছেন। বিমানবন্দর থানা সূত্র জানায়, দায়ের করা মামলার এজাহারে নাসির উদ্দিন মাহমুদ, অমি, লিপি আক্তার ও সুমি আক্তার এবং নাজমা আমিন স্নিগ্ধাকে আসামি করা হয়।
এর আগে, গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর রোডের ১৩ নম্বর বাসা থেকে নাসিরসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গতকাল দুপুরে সাভার থানায় নাসিরসহ ছয়জনের নামে মামলা করেন পরীমণি। এতে নাসির ও তাঁর বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে আরো চারজনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়। এর আগে সকালে রূপনগর থানার মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ করেন পরীমণি। গত ৮ জুন রাতে বোট ক্লাবেই নাসির ধর্ষণের চেষ্টা করেন বলে পরীমণি মামলায় অভিযোগ করেন। গত রবিবার রাতে প্রথমে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাসে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলে বিচার চান পরীমণি। ফেসবুক পেজে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে 'মা' সম্বোধন করে সহায়তা চান।
এরপর রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাঁর বনানীর বাসায় সাংবাদিকদের কাছে নির্যাতনকারীদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেন পরীমণি। পরীমণির করা মামলায় নাসিরসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের সময় বাসায় অভিযান চালিয়ে বিদেশি মদসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
গ্রেপ্তারের পর গতকাল গোয়েন্দা বিভাগ (উত্তর-তেজগাঁও, গুলশান, মিরপুর ও উত্তরা) এবং সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার হারুন-অর-রশীদ বলেছিলেন, 'পরীমণির মামলার পরিপ্রেক্ষিতে নাসির উদ্দিন মাহমুদের বাসায় অভিযানকালে তাঁর বাসা থেকে বিদেশি মদসহ অন্য মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর বাসায় উঠতি বয়সী নারীরা এসে মদ পান করতেন বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। তাঁর বাসায় ডিজে পার্টির আয়োজন ছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করা হবে।'