ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬৮৭ বার
অর্থনীতি ডেস্ক: তুলনামূলকভাবে সরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকে টাকা জমা রাখলে সবচেয়ে কম সুদ পাওয়া যায়। আবার বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর মধ্যে ইসলামী ব্যাংকে টাকা জমা রাখলে লাভ কম পাওয়া যায়। অথচ গ্রাহকরা এই দুটি ব্যাংকেই সবচেয়ে বেশি টাকা জমা রাখছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত মে মাসের শেষে সোনালী ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। একই সময়ে ইসলামী ব্যাংকের আমানত ১ লাখ ২৪ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, সরকারি খাতের কোনও কোনও ব্যাংক ৯ শতাংশ হারে সুদ দিয়ে আমানত সংগ্রহ করলেও সোনালী ব্যাংকের আমানতের রেট সবচেয়ে কম। দেখা যাচ্ছে, সোনালী ব্যাংকের সঞ্চয়ী হিসাবে টাকা জমা রাখলে ব্যাংকটি গ্রাহকদের সুদ দেয় মাত্র ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ। অথচ রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকে টাকা জমা রাখলে সুদ পাওয়া যায় ৪ শতাংশ হারে। এছাড়া বিডিবিএল, রূপালী ও অগ্রণী ব্যাংকে টাকা রাখলে সুদ পাওয়া যায় ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ করে। আর জনতা ব্যাংকের সঞ্চয়ী হিসাবে টাকা জমা রাখলে গ্রাহকরা সুদ পান ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এছাড়া ফিক্সড ডিপোজিট ও বিভিন্ন মেয়াদি আমানতের সুদ হার সোনালী ব্যাংকের চেয়ে অন্যান্য ব্যাংকে বেশি। এদিকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আমানত সংগ্রহকারী ইসলামী ব্যাংকে মুনাফা আরও কম।
প্রসঙ্গত, সাধারণত ঋণ বিতরণের স্বার্থে সর্বনিম্ন তিন মাস থেকে তিন বছর, বা তারও বেশি সময়ের জন্য ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করে থাকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, তিন বছরের কম মেয়াদি আমানতে ইসলামী ব্যাংক মুনাফা দিচ্ছে ৪ শতাংশেরও কম। যদিও অধিকাংশ ব্যাংক তিন বছরের কম সময়ের জন্য আমানত রাখা গ্রাহকদের ৬ শতাংশের বেশি সুদ দিচ্ছে। তবে দীর্ঘ মেয়াদি ( তিন বছরের বেশি) আমানতের বিপরীতে ৬ শতাংশের বেশি মুনাফা দেয় ইসলামী ব্যাংক। আর সোনালী ব্যাংক ৬ শতাংশের বেশি সুদ দেয় না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের মার্চ মাসে দেশের সবগুলো ব্যাংকের (৬১টির) আমানত ছিল ১২ লাখ ৯৮ হাজার ৯৭১ কোটি টাকা। এরমধ্যে সোনালী ও ইসলামী— এই দুটি ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ ২ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা। গত মে মাসের শেষে অগ্রণী ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ বেড়ে ১ লাখ ৯০৩ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। তিন ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিইওরা (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) বলছেন, ব্যাংক তিনটির প্রতি মানুষের আস্থা বেশি। যে কারণে মানুষজন এই তিনটি ব্যাংকে আমানত রাখতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন।