ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ১০৯৩ বার
কৃষি: এ বছর আগাম বৃষ্টিই আমাদের জানান দিচ্ছে সামনে বর্ষাকাল। বর্ষাকাল এলেই শুরু হয় আমন ধান চাষের মৌসুম। এই বৃষ্টির পানিতেই বীজতলা তৈরীতে ব্যস্ত স্থানীয় আমন চাষীরা। এ আমনের চারা রোপনের জমি তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর চাষীরা । তারা বীজতলা তৈরীর জন্য ইত্যেমধ্যে মাঠে নেমে পড়েছেন। তারা তাদের বীজতলা তৈরীর নির্ধারিত উচু স্থানে বীজের চারা উৎপাদনের জন্য কাজ করছেন। এদিকে কৃষকরা কিছুদিন আগেই তাদের উৎপাদিত বোরো ধান ঘরে তুলেছেন। বেশ কিছুদিন বিশ্রাম শেষে আবারও মাঠে নেমেছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আগাম বর্ষার পানিতে তারা আমন বীজতলা তৈরীর জন্য মাঠে কাজ করছেন। কেউ জমির আইল কাটছেন আবার কেউ জমির আগাছা পরিস্কার করছেন। অনেক কৃষকই আমন ধানের বীজতলা তৈরীর কাজ শুরু করেছেন।
উপজেলার বীরতারার ইউনিয়নের বাজিতপুর গ্রামের কৃষক হাবীবুর রহমান, নূরুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম জানান, আমরা আমন ধানের চারার জন্য বীজতলা তৈরী করছি। এবার বৃষ্টির পানিতেই নির্ধারিত জমি চাষ করে বীজতলা তৈরী করবো। এছাড়াও জমিতে ধানের ফলন বেশী পাওয়ার জন্য উন্নত জাতের ধানের বীজ উৎপাদন করছি।
উপজেলার পাইস্কা ইউনিয়নে কৃষক শহিদ, বেলাল হোসেন, আব্দুল হাই ও আনোয়ার হোসেন জানান, এ বছর আমরা ৮ বিঘা জমির জন্য বীজতলা তৈরী করছি। ধান বেশী পাওয়ার জন্য ভালো জাতের বীজ ব্যবহার করছি। যেন ধান উৎপান বেশী করতে পারি।
হাজরাবাড়ী এলাকার অপর কৃষক লিটন মিয়া জানান, আমি নিজের জমিতে যে পরিমান চারার প্রয়োজন তার চেয়ে দ্বিগুণ চারা উৎপাদ করবো। সেই চারা অন্য কৃষকের নিকট বিক্রি করে অতিরিক্ত টাকা আয় করবো। সেই টাকা দিয়ে জমিতে হালচাষ, সার ও শ্রমিকের খরচ বহন করবো।
উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা যায়, গত বছর এ উপজেলার কৃষকরা তারা ৫‘শত হেক্টর জমিতে চারা উৎপাদন করেছিলেন। এবারও আমরা আশা করছি সেই পরিমান চারা তারা উৎপাদন করবেন। এবার আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ হাজার হেক্টর।
এ ব্যাপারে ধনবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান তিনি জানান, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে এ উপজেলার কৃষকদের সঠিকভাবে বীজ উৎপাদনের জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে গিয়ে কৃষকদের কে নানাভাবে সহযোগীতা করছেন।