ঢাকা, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

২০০ জনের কভিড জয় এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৭০৯ বার


২০০ জনের কভিড জয়  এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মাস তিনেক আগের কথা। গোটা একটা বছর অবরুদ্ধ থাকার পরে দ্বার খুলেছে নেপাল। দ্বার খুলেছে পর্বতারোহীদের জন্য। কভিডের কারণে ২০২০ সালে নেপালের পাহাড়ে পা পড়েনি কারো। ২০২১ সালে ফের আসতে শুরু করেন দেশ-বিদেশের অভিযাত্রীরা। যে যে শৃঙ্গে অভিযান হয়ে থাকে সেগুলোর মধ্যে এভারেস্ট অন্যতম। তাই প্রত্যাশামতোই ভরে ওঠে এভারেস্টের বেসক্যাম্প। একটা বছর শূন্যতার পরে ফের গমগম করে ওঠে রংবেরঙের হাজারো তাঁবু। কিন্তু এর মধ্যেই দুঃস্বপ্নের মতো হানা দেয় কভিড। সমস্ত সতর্কতা সত্ত্বেও মে মাসেই এভারেস্ট বেসক্যাম্প হটস্পট হয়ে ওঠে করোনার। একের পর এক আরোহী ফিরতে শুরু করেন নিচে।

কিন্তু এরই মধ্যে দুরন্ত কাণ্ড ঘটিয়েছেন এক মেডিক্যাল অফিসার। তাঁর দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এভারেস্ট বেসক্যাম্পে সুস্থ হয়ে ওঠেন ২০০ জন কভিড আক্রান্ত আরোহী! সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সের মেডিক্যাল অফিসার ডক্টর তরুণ রানা-ই মূলত দায়িত্ব নিয়ে চিকিৎসা শুরু করেন। বেসক্যাম্পে ২৮০ জন আরোহীর মধ্যে সন্দেহভাজন কভিড আক্রান্ত ২০০ জন ছিলেন। ১০ লিটার মেডিক্যাল অক্সিজেন সিলিন্ডারের সীমিত জোগান, স্টেরয়েড ইনজেকশন, কিছু জীবনদায়ী ওষুধ এই সবটা অতি দক্ষতার সঙ্গে, মাপমতো কাজে লাগিয়ে চিকিৎসা চালিয়ে যান তিনি। সাড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি উচ্চতায় এই কাজ করা মোটেও সহজ ছিল না। কিন্তু দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাসের মিশেলে তিনি অনন্য ভূমিকা পালন করেন, নিজের আরোহণ স্থগিত রেখে।

তরুণ রানার কথায়, ‘সারা বিশ্ব থেকে অনেক মানুষ এসেছিলেন বেসক্যাম্পে। ভাইরাসের সংক্রমণের উপসর্গ ছিল ২০০ জনের শরীরে। ২০ জনের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক ছিল। একজনের অবস্থা বেশ খারাপও হয়, ওষুধ কাজ করেনি। তাঁকে কাঠমাণ্ডু নামিয়ে নিয়ে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করা হয়।’ সূত্র : দ্য ওয়াল।

 


   আরও সংবাদ