স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৬৬ বার
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ- ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কুসুমপুর গ্রামে অবৈধভাবে বাওড় ইজারা দেওয়ার প্রতিবাদে মাথায় কাফনের কাপড় বেধে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে মৎস্যজীবীরা। শনিবার সকালে মহেশপুর উপজেলার কুসুমপুর গ্রামে এ কর্মসূচীর আয়োজন করে বাওড়পাড়ের বাসিন্দারা। এসময় মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে মহেশপুরের কুসুমপুর, স্বরূপপুর, পিপুলবাড়িয়া চুয়াডাঙ্গার বেনীপুর ও ধান্যখোলা গ্রামের ১১৫ টি পরিবারের কয়েক’শ সদস্য অংশ নেয়।
কর্মসূচী থেকে বেনিপুর বাওর ব্যবস্থাপনা কমিটির সম্পাদক পুর্ণ চন্দ্র হালদার বলেন, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বেনীপুর বাওড়টি আর্ন্তজাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইফাদ) ও সরকারের মাধ্যমে ৫০ বছরের মধ্যে চুক্তি হয়। এই চুক্তির মাধ্যমে বাওড়টিতে গত ৩০ বছর ঝিনাইদহের মহেশপুর ও চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার ৫ টি গ্রামের মৎস্যজীবীরা তাদের জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।
২০১৪ সালে ভূমি মন্ত্রনালয় বাওড়টি লীজ দেওয়ার জন্য একটি নির্দেশনা জারি করে। ওই সময় মৎস্যজীবীরা হাইকোর্টে রিট পিটিশন করলে তারা পক্ষে রায় পায়। এর পর থেকে তারা বাওড়টি ভোগ করে আসছে। গত বছর আবারো একই নির্দেশনা জারি করলে মৎস্যজীবীরা রিট করে আবারো পক্ষে রায় পায়। কিন্তু হঠাৎ করে মৎস্যজীবীদের না জানিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ৫০ বছরের ওই চুক্তি অগ্রাহ্য করে খাস আদায়ের জন্য একটি সমিতিকে এক মাসের জন্য দ্বায়িত্ব দেয়।
এর পর থেকেই এতে পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ওই ১১৫ টি পরিবার। তাই দ্রুত বাওড়টি মৎস্যজীবীদের কাছে হস্তান্তর করার দাবি জানান তারা। মৎস্যজীবী আলা হোসেন বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন এক মাসের খাস আদায়ের জন্য যে নিদের্শনা জারি করেছে তার প্রতিবাদে আমরা হাইকোর্টে রিট করেছি। চলতি মাসের ৭ তারিখে আমার একমাসের জন্য স্থিতিবস্থা জারির রায় পেয়েছি। মৎস্যজীবী মজিবর রহমান বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই বাওড়ের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করছি।
কিন্তু আমাদের মুখের খাবার জেলা প্রশাসন কেড়ে নিয়েছে। বাওড়ে মাছ ধরতে গেলে জীবননগর থেকে পুলিশ এসে আমাদের হয়রানি করছে। অমাছ ধরতে গেলে হয়রানি করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমাদের অনুরোধ আমাদের ১১৫ টি পরিবারের ৭০০ সদস্যদের কথা চিন্তা করে যেন বাওড়টি আমাদের ব্যবস্থাপনায় দেয়। এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম বলেন, যারা মানববন্ধন করছে তারা অন্যায় করছে। সরকার রাজস্ব আদায় করছে তারা সরকারের কাজে বাঁধা দিচ্ছে। ইফাদের সাথে চুক্তি ছিল তা অনেক আগেই হাইকোর্ট বাতিল করে দিয়েছে।