বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬৬০ বার
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নে বোলাখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সেখানকার কলেজপড়ুয়া আরিফ হাসান শুভ (২২) ভালোবেসে বিয়ে করেন একই ইউনিয়নের মাহমুদা আক্তার মুক্তাকে (১৮)। তবে মুক্তার বাবা ধনাঢ্য ব্যবসায়ী আহসান হাবিব লাক মিয়া এই বিয়ে মেনে নিতে পারেননি। ফলে গত ২১ জুন শুভ ও তার পিকআপ চালক বাবা কফিল উদ্দিনসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
সেদিনই আরিফের বাবা কফিল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর গতকাল রোববার ভোরে আরিফকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। বর্তমানে তারা দুজনই কারাগারে রয়েছেন।
এদিকে বিয়ের পরপরই গত ২ জুলাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মুক্তার একটি ভিডিও দেখা যায়। যেখানে তাকে অপহরণ করা হয়নি জানিয়ে ওই তরুণকে স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছেন বলেও জানান তিনি। ভিডিওতে শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে হয়রানি না করতে তার পরিবারের লোকজনকে অনুরোধ করেন মুক্তা। তারপরেও প্রেমিক শুভ ও তার বাবার নামে অপহরণ মামলা ও তাদের জেল খাটানোকে ভালো চোখে দেখছে না এলাকাবাসী।
এদিকে আরিফের চাচা জসিম উদ্দিন জানান, শুভ ও মুক্তার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। চার মাস আগে তারা পরিবারকে বিষয়টি জানালে মেয়ের পরিবার থেকে আপত্তি ওঠে। তারা মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দিতে চাইলে গত ১৬ জুন তারা একত্রে পালিয়ে যান। পরে মেয়ের পরিবার অপহরণের মিথ্যা মামলা দিলে তার ভাই ও ভাতিজার জেল হয়ে যায়। এসময় ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও ভাই-ভাতিজার মুক্তি চান জসিম উদ্দিন।