ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬৭৭ বার
আফগানিস্তানের কান্দাহার শহরের ভারতীয় কনস্যুলেটে কর্মরত কূটনীতিকদের শনিবার যেভাবে রাতারাতি দিল্লিতে ফিরিয়ে আনতে হয়েছে তাতে ইঙ্গিত স্পষ্ট যে ওই দেশটিতে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দিল্লি কতটা উদ্বিগ্ন।
হেরাত, জালালাবাদ এবং মাজার-ই-শরীফের ভারতীয় কনস্যুলেটগুলো এখনো বন্ধ করা না হলেও, সেগুলোতে কাজকর্ম কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
কয়েক ডজন কূটনীতিককে দিল্লিতে ফিরিয়ে আনার এই সিদ্ধান্তের কয়েকদিন আগে গত সপ্তাহেই আফগানিস্তানে ভারতের সাহায্যে নতুন করে তৈরি একটি ড্যাম বা বাঁধে তালেবানের হামলায় কমপক্ষে ১০ জন নিরাপত্তা রক্ষী মারা যায়।
হেরাত প্রদেশে ওই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি আফগানিস্তানে ভারতের সবচেয়ে বড় প্রকল্প, যেটিতে তারা ৩০ কোটি মার্কিন ডলার খরচ করেছে। নতুন করে তৈরির পর সালমা ড্যাম নামে পরিচিত ওই বাঁধের নামকরণ করা হয় ভারত-আফগানিস্তান মৈত্রী ড্যাম, যেটির উদ্বোধন করতে ২০১৬ সালের জুনে আফগানিস্তান গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আফগান-ভারত সম্পর্কের প্রতীক হিসাবে বিবেচিত ওই বাঁধে হামলার ঘটনায় তালেবানের উদ্দেশ্য নিয়ে ভারতের মধ্যে শঙ্কা-সন্দেহ হয়তো বাড়িয়ে দিয়েছে।
আফগানিস্তান থেকে আমেরিকান সৈন্য পুরোপুরি প্রত্যাহারের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই ঝড়ের গতিতে একের পর এক অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিচ্ছে তালেবান। দেশটির কমপক্ষে ৭০ শতাংশ এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি করছে তালেবান, যা খুব শক্ত গলায় প্রত্যাখ্যান করতে পারছে না আফগান সরকার।
এমনকি কাবুলের ওপরও নিঃশ্বাস ফেলছে তারা।
জুনের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিভাগগুলোর যে বিশ্লেষণ রিপোর্টটি সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয়, তাতে বলা হয়েছে যে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের ছয় মাসের মধ্যেই কাবুলের বর্তমান সরকারের পতন হতে পারে।
আর সত্যিই যদি তা হয়, তাহলে ২০ বছর পর তালেবানই যে আবার ক্ষমতা নেবে তা নিয়ে তেমন সন্দেহ আর কেউ করছে না।