নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬৯৮ বার
ইসমাইল হোসেন পোরশা (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃএ বৈশ্বিক মহামারী করোনায় কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে নওগাঁর হাট গুলিতে গরু-ছাগলের হাট বসিয়ে ক্রয়-বিক্রয়ের অনুমতি দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ প্রেক্ষিতে পোরশা উপজেলার হাট গুলিতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে প্রশাসনের অনুমতি ক্রমে হাট ইজারাদার বিকল্প মাঠে গরু-ছাগলের হাট বসিয়েছে। ঘাতক ব্যাধি করোনা পরিস্থিতিতে এ উপজেলার দু’টি হাটে গবাদি পশু ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য হাটে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ছাওড় ইউনিয়নের মশিদপুর হাট এবং গাঙ্গুরিয়া ইউনিয়নের গাঙ্গুরিয়া হাট বিকল্প মাঠে বসানো হয়েছে।
উপজেলার গরু-ছাগল ক্রয়-বিক্রয়ের হাট দু’টি ঘুরে দেখে জানা যায়, হাট দু’টিতে কোরবানি দেওয়ার জন্য গরু-ছাগল নিয়ে অনেক বিক্রেতা ও ক্রেতারা উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ক্রেতা-বিক্রেতার আগমনে উৎসবের আমেজ প্রতীয়মান হয়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ক্রেতা-বিক্রেতারা বলেন, কোরবানি দেওয়ার মত পশুর দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকার কারণে বেচা-কেনাও হচ্ছে প্রচুর। তবে করোনা প্রতিরোধের বিধি মোতাবেক হাট দু’টিতে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের জন্য, হাটের প্রবেশ পথে রাখা হয়েছে সাবান ও হাত ধোঁয়ার ব্যবস্থা। হাটে মুখে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে মাস্কবিহীনদের দেওয়া হচ্ছে মাস্ক। গরু বেঁধে রাখার জন্য পৃথকভাবে বাঁশের ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে।
হাটে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশ, বিজিবি, আনসার, গ্রাম পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিগণ কাজ করতে দেখা গেছে। কঠোর তদারকি সহ এর দেখভাল করছেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার নাজমুল হামিদ রেজা এবং সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন পরিচালনা করছেন মোবাইল কোর্ট। আর স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের দায়ে অনেকের অর্থদন্ড করা হচ্ছে। হাটগুলিতে শতভাগ শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত না হলেও প্রায় ৯০ ভাগ মানুষের মুখে মাস্ক দেখা যাচ্ছে। হাটে কোরবানির জন্য গরু ক্রয় করতে আসা সহকারি প্রধান শিক্ষক নুর নবি আজাদ জানান, তিনি কোরবানির জন্য একটি গরু কিনতে হাটে এসেছেন।
দেশের করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকারের দেওয়া লকডাউন এবং ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় এ উৎসব ঈদ-উল-আযহাকে সামনে রেখে পশু ক্রয়ের ব্যপারে খুব চিন্তায় ছিলেন তিনি। হাট লাগবে জেলা প্রশাসকের এই ঘোষানায় কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন বলেন তিনি। তবে হাটে এসে প্রশাসনের করোনা বিরোধী তৎপরতা দেখে কোন রকম ঝুঁকি ছাড়াই কোরবানির পশু কিনে বাড়ি ফিরতে পারবেন বলে জানান। হাট দু’টির ইজারাদারগণ জানান, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের কারণে হাট বন্ধ থাকায় অনেক লোকসান গুণতে হচ্ছে তাদের। তবে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পশুর হাটগুলো চালু থাকলে কিছুটা হলেও ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যাবে বলে তারা মনে করছেন।
এ ছাড়া সরকারের দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটগুলো চালু রাখার দাবি জানান তারা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হামিদ রেজা জানান, আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে মহামারি করোনা ভাইরাসের মধ্যেও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক সার্বিক দিক বিবেচনায় রেখে উম্মুক্ত স্থানে পশুর হাট গুলি চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সুতরাং হাটগুলোতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে উপজেলা প্রশাসন বলে তিনি জানান।