ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৮০১ বার
রাজনীতি ডেস্ক; মঙ্গলবার রাতে বিএনপি জোট ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় জমিয়ত। আজ জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা জিয়া উদ্দীন ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া উপস্থিত থেকে এ ঘোষণা দেবেন।
বৈঠকে অংশ নিতে ইতোমধ্যে জমিয়তের পুরানা পল্টন কার্যালয়ে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত হয়েছেন। জোহরের নামাজের পরই দলীয় বৈঠক থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জমিয়তের প্রচার সম্পাদক মাওলানা জয়নাল আবেদীন বুধবার দুপুরে যুগান্তরকে বলেন, আজকে আমাদের বিশেষ আমেলার বৈঠক রয়েছে। কয়েকজন মুরব্বি এখনও এসে পৌঁছাননি। তারা এলেই বৈঠক শুরু হবে।
জমিয়ত আজ ২০-দলীয় জোট ছাড়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে কিনা— এ বিষয়ে তিনি বলেন, এমনটিই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা বিকালের মধ্যে প্রেস রিলিজ পাঠিয়ে দেব।
সূত্রমতে, হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় জমিয়তের প্রথম সারির বেশ কয়েকজন নেতা গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন— জুনায়েদ আল হাবিব, শাহীনুর পাশা চৌধুরী, মনজুরুল ইসলাম আফেন্দি, মনির হোসেন কাসেমী, খালিদ সাইফুল্লাহ সাদী ও মোহাম্মদ উল্লাহ জামী।
জমিয়তের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের দাবি— জুনায়েদ আল হাবিব ও মনির হোসেন কাসেমী ছাড়া বাকিদের মুক্তির বিষয়টি ত্বরান্বিত করতে জোট-ছাড়ার বিষয়টি কাজে দেবে, এমনটি মনে করা হচ্ছে। এ বিষয়ে এতদিন পক্ষে-বিপক্ষে দুটি মত থাকলেও এখন জোট ছাড়ার বিষয়ে সবাই একমত হয়েছেন।
প্রসঙ্গত জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এখন দুই ভাগে বিভক্ত। উভয় অংশ বিএনপি-জোটের শরিক। ‘ভারপ্রাপ্ত’ হয়ে একটি অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মাওলানা জিয়াউদ্দিন (ভারপ্রাপ্ত সভাপতি) ও মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া (ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব)।
এই অংশের সভাপতি মাওলানা আবদুল মোমিন গত বছর মারা গেলে মাওলানা জিয়াউদ্দিন ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পান। এর পর এ বছর করোনা আক্রান্ত হয়ে নূর হোসাইন কাসেমীর ইন্তেকালের পর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হন মনজুরুল ইসলাম আফেন্দি, যিনি গত এপ্রিল থেকে হেফাজতের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। আফেন্দির অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া।
নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নিবন্ধন নং ২৩। ২০০১ সালে সংগঠনটি বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়। ২০০১ সালের নির্বাচনে দলটির দুজন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।