নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৫৯ বার
সাপাহার(নওগাঁ)প্রতিনিধি: আমের বানিজ্যিক রাজধানী হিসেব খ্যাত নওগাঁর সাপাহারে ফ্রুটব্যাগিং পদ্ধতিতে আম চাষ করে অধিক মুনাফা করছেন আমচাষীরা। অধিক মুনাফা ও রোগ বালাইয়ের হাত থেকে আম রক্ষা করতে এই পদ্ধতি আম চাষিদের নিকট বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
অভিজ্ঞ আমচাষীগণ বলছেন, কীটনাশক, পোকামাকড় ও বিরূপ আবহাওয়ার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আম রক্ষা করতে এই পদ্ধতি খুবই কার্যকর। এছাড়াও ফ্রুটব্যাগিং পদ্ধতি আম সংরক্ষণ করার একটি সহজ ও উপযুক্ত পন্থা। যা আমের গুণগত মান ও রং সতেজ রাখতে খুবই কার্যকর।
এই উপজেলায় আম চাষে বেশ কয়েক বছর যাবৎ ফ্রুটব্যাগিং পদ্ধতি চলছে। প্রাথমিক অবস্থায় হাতে গোনা কয়েকজন চাষী এই পদ্ধতি ব্যবহার করতেন। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় বর্তমানে এলাকার বেশিরভাগ চাষী এই পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। যাতে করে লাভবান হচ্ছেন এলাকার আমচাষীগণ। ফ্রুটব্যাগিং করা আমের চাহিদা ভোক্তাদের কাছে অনেক বেশি। কারণ ফ্রুটব্যাগিং এর কারনে আম থাকে কীটনাশক মুক্ত। পোকামাকড়, বিরূপ আবহাওয়া ও বাইরের ক্ষতিকর কোনও প্রভাব এই ব্যাগের মধ্যে ঢুকতে পারে না।
আম চাষি মাহফিজুর রহমান বলেন, চলতি বছরে ফ্রুটব্যাগিং পদ্ধতি ব্যবহার করা আমের চাহিদা বেশ ভাল। আম ফ্রুটব্যাগিং করার কারনে বিভিন্ন পোকামাকড় থেকে আম রক্ষা পায়। এতে আম থাকে বিষমুক্ত স্বাস্থ্য সম্মত। শুধু মাত্র গাছে সামান্য কীটনাশক স্প্রে করলেই হয়। ফ্রুটব্যাগিং পদ্ধতি একটু ব্যয় বহুল হলেও আম বিক্রি সময় বেশী লাভ হয় ।
উপজেলা কৃষি সম্প্রারণ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, চলতি বছরে এই উপজেলায় ৮ থেকে ১০ লক্ষ ফ্রুট ব্যাগ বিক্রি হয়েছে। ফ্রুট ব্যাগ মূলত মাছি পোকা
সহ অন্যান্য ক্ষতিকারক পোকার আক্রমন থেকে আম কে সুরক্ষা করে। এছাড়া আমের পচন রোধ কল্পে ফ্রুটব্যাগিং পদ্ধতি খুব ভালো কাজ করে। যার ফলে কৃষকগণ শেষ মৌসুমে বেশি দামে তাদের আম বিক্রি করতে পারে। লেট ভ্যারাইটি আমের মধ্যে আশ্বিনা ও বারি-৪ ,গৌরমতি জাতের আম ফ্রুটব্যাগিং করা যায়। এতে আম গুলো মৌসুমের শেষে অধিক দামে বিক্রি করা যায়। বর্তমানে এলাকার আম চাষীদের মাঝে এই ফ্রুটব্যাগিং পদ্ধতি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।