নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৮৪৭ বার
লাইট হাউস কনসোর্টিয়াম-এর অধীনে পরিচালিত ‘‘ড্রাগ এবিউজ রেজিসটেন্ট অ্যান্ড আন্ডারস্ট্যান্ডিং (দাড়াও)’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনসহ তিনটি প্রতিষ্ঠান। ৩১ জুলাই ২০২১, শনিবার ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের আয়োজনে নাটোর জেলার স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের সাথে জুম প্ল্যাটফর্মে ‘স্থানীয় সরকারের বাজেটে মাদকনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির জন্য বাজেট বরাদ্দ ও তা বাস্তবায়ন’ শীর্ষক এডভোকেসি সভার আয়োজন করা হয়।
নাটোর সদর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধূরীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নাটোর জেলার জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নাটোর জেলার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন, নাটোর সদর উপজেলার প্রধান নির্বাহী আফরোজা খাতুন, লালপুর উপজেলার প্রধান নির্বাহী শাম্মী আক্তার এবং সিংড়া, উপজেলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম সামিরুল ইসলাম। সভায় প্রথমেই স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন লাইট হাউজের প্রধান নির্বাহী মো.হারুন-অর-রশিদ। এরপর সভার মূল বক্তব্য তুলে ধরে উপস্থাপনা করেন দাড়াও প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সুব্রত কুমার পাল। এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন বক্তব্য প্রদান করেন কাউন্টার পার্ট ইন্টারন্যাশনালের পার কর্মসূচির প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট মাহাদী হাছান ও পার্টনার সংস্থা এনএসকেএস এর নির্বাহী পরিচালক ডিএম আলম।
দাড়াও প্রকল্পের এডভোকেসি অফিসার উম্মে জান্নাতের সঞ্চালনায় উক্ত সভায় নাটোর জেলার বিভিন্ন উপজেলার চেয়্যারমেন, পৌরসভার মেয়র, কাউন্সেলর ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগন অংশগ্রহণ করেন। সভায় বক্তব্য প্রদান করেন নলডাংগা উপজেলা চেয়ারম্যান মো: আসাদুজ্জামান, লালপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মো: ইসহাক আলী, বড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. মো: সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, সিংড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল ইসলাম এবং সাংবাদিক রেজাইল করিম রেজা । উপজেলা চেয়ারম্যানগণ তাদের বক্তব্যে জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের যোগ্যতা নির্ধারনে ক্ষেত্রে ডোপ টেস্টের বিষয়ে গুরুত্ব প্রদান করেন। নাটোর সদর উপজেলার চেয়্যারমেন মোঃ শরিফুল ইসলাম রমজান তার বক্তব্যে নাটোর সদর উপজেলা থেকে মাদকবিরোধী কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ২ লক্ষ টাকা বাজেট বরাদ্দের প্রতিশ্রতি প্রদান করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বক্তারা নাটোরে তৃণমূল পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী,অভিভাবক এবং আদিবাসীদের সাথে মাদকবিরোধী সচেতনতামূলক কর্মসূচি আয়োজন করার বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করেন। সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কার্যক্রম আরো সক্রিয় করতে হবে এবং এই প্রকল্পের এসকল প্রোগ্রামে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার প্রতিনিধিদের প্রোগ্রামের সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধূরী বলেন, মাদকাসক্তদের চিকিৎসার প্রতি গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন,সচেতনতা বৃদ্ধিতে স্থানীয় সরকার, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সকলকে সক্রিয় ভুমিকা পালন করতে হবে। তিনি বলেন আরো বলেন নাটোর পৌরসভা থেকে মাদক নিয়ন্ত্রন কর্মসূচি বাস্তবায়নে যেকোন ধরণের সহায়তা প্রদান করা হবে। সবশেষে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের সহকারী পরিচালক মোঃ মোখলেছুর রহমানের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে সভাটি শেষ করা হয়। উল্লেখ্য ইউএসএইড এবং এফসিডিও-এর আর্থিক সহায়তায় কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রোমোটিং অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড রাইটস (পার) কর্মসূচির আওতায় রাজশাহী ও নাটোর জেলায় দাড়াও প্রকল্পটি মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পটি লাইট হাউজ কনর্সোটিয়াম এর সাথে অংশীদার হিসেবে ঢাকা আহ্ছনিয়া মিশন, আসক্ত পুনর্বাসন সংস্থা (আপস) রাজশাহীতে এবং নারী ও শিশু কল্যাণ সোসাইটি নাটোরে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
উম্মে জান্নাত
এডভোকেসি অফিসার
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন
মোবাইল: ০১৬৭৭৬৩৭৭৪১