নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৬৪৫ বার
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গৃহবধুকে বর্বরোচিত নির্যাতন করলেন স্বামী। স্থানীয়'রা বলছেন, স্বামীর সাথে অভিমান করে নিজেই আগুন লাগিয়েছেন স্ত্রী। জানা গেছে, জয়পুরহাটের বানিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুস সবুর সরদার তার মেয়ে মঞ্জিলা খাতুন (২৮) কে পাঁচ বছর পূর্বে ক্ষেতলাল উপজেলার রোয়াইর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে শরিফুল ইসলাম রনি (৩২) এর সাথে বিয়ে দেন। মঞ্জিলা খাতুনের বাবা আব্দুস সবুর সরদার, তাঁর বাড়ী জয়পুরহাটের বানিয়াপাড়া গ্রামে। তিনি বলেন, বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়ে মঞ্জিলা খাতুন এর প্রতি জামাই কারণে-অকারণে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করে আসছিল। আমরা একাধিকবার সতর্ক করার পরও জামাই ঐরূপ আচরণ করতে থাকে। একপর্যায়ে গত ২৬ জুলাই (সোমবার) দুপুর ১টায় তুচ্ছ এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার মেয়ে মঞ্জিলা খাতুনকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘরের দরজা বন্ধ করে শারীরিক নির্যাতন করে তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়। তার আত্মচিৎ শুনে রনির বড়ভাই আরিফুল ইসলাম ও একই গ্রামের মীর বক্স এর ছেলে খয়বর আলী ছুটে এসে ঘরের দরজা ভেঙে মঞ্জিলা খাতুনকে উদ্ধার করে। ততক্ষণে তার কোমর থেকে মুখ পর্যন্ত ও দুই হাত পুড়ে যায়। ওই প্রতিবেশীরা দ্রুত তাকে শহীদ জিয়া মেডিকেল হাসপাতাল বগুড়া নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটে তাকে স্থানান্তর করেন। সেখানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন গৃহবধূ মঞ্জিলা খাতুন। এবিষয়ে মঞ্জিলার বাবা বাদী হয়ে স্বামী শারফুল ইসলাম রনি বিরুদ্ধে ক্ষেতলাল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ নীরেন্দ্রনাথ মন্ডল। তিনি বলেন- এবিষয়ে মেয়ের বাবা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। আমরা ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে আসামিকে আটক করেছি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে বিজ্ঞ আদালত মঞ্জুর করেছে।
হারুনুর রশিদ
বিশেষ প্রতিনিধি।