ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৪৪৪ বার
বরগুনার সদর উপজেলার ৮নং বরগুনা সদর ইউনিয়নের কালিরতবক গ্রামে কৃষক দম্পতি আঃ মন্নান ও রোফেজা আক্তার পুকুরের পাশে মাচায় তরমুজ চাষ করে সাড়া ফেলেছেন। প্রতিদিনই কৃষক দম্পতির গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে সাফল্য দেখতে শহর ও গ্রাম থেকে কৌতূহলী লোকজন আসছে কৃষি খামারে। বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান এই কৃষি খামার পরিদর্শন করে কৃষক দম্পতিকে প্রশংসার পাশাপাশি সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।কৃষক আঃ মন্নান বলেন, আমি কৃষি কাজ করেই জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। তেমন পূঁজি না থাকায় এক সময় বিভিন্ন জনের জমিতে সহযোগিতা করতাম। এক পর্যায়ে নিজে বাড়ির সামনে সবজি বাগান এবং ছোট মাছের ঘের করি। বছর খানেক পরে অল্প জায়গায় হ্যাচারি করে পোনা উৎপাদন শুরু করি। পোনা উৎপাদনে সাফল্য পাই।এ বছরের প্রথম দিকে বাড়ির সামনে ৮০ শতাংশ জমিতে প্রথমে পুকুর কেটে মাছ চাষ শুরু করেন কৃষক মন্নান ও তার স্ত্রী রোফেজা। নিজেদের চিন্তা থেকেই পুকুরের দু'পাড়ে মাচা করে নেট দিয়ে শুরু করেন গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ। বেঙ্গল টাইগার, জাপানের কারিশমা, থাইল্যান্ডের তানিয়া জাতের তরমুজ বাজারে প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা মূল্যে। এই জাতের তরমুজ ভিতরে হলুদ, লাল রংয়ের এবং খেতে সু-স্বাদু হওয়ায় ক্রেতাদের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।কৃষক দম্পতি বলেন, এ বছর মাছসহ অন্য সাথী ফসল বাদ দিয়ে তরমুজে আড়াই থেকে ৩ লাখ টাকা আয় হবে ইনশাল্লাহ।
বরগুনা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কৃষক দম্পতির গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে সাফল্য দেখে অনেকের মধ্য আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষিতে উৎসাহ দিচ্ছি। সার্বক্ষণিক মাঠ পর্যায়ে করোনাকালীন উপ-কৃষি কর্মকর্তারা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।