ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

সাহেদ করিম-শামীমা নূর পাপিয়া-হেলেনা জাহাঙ্গীরদের মতো সুবিধাবাদীদের উত্থানবিতর্ক

স্টাফ রিপোর্টার


প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৩৪০ বার


সাহেদ করিম-শামীমা নূর পাপিয়া-হেলেনা জাহাঙ্গীরদের মতো সুবিধাবাদীদের উত্থানবিতর্ক

আমাদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, ১৩/১৪টা সংগঠন স্বীকৃত। এর বাইরে সব ৩০/৪০/৫০ যত সংগঠনই আছে, সব ভুয়া 

একটি অংশের দাবি, ‘ক্ষমতার মধু’ খেতে উড়ে এসে জুড়ে বসা লোকদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেন দলীয় নেতারাই। আবার ‘প্রয়োজন ফুরালে’ দায়িত্বও এড়িয়ে যান তারা।

জানা গেছে, ইতোমধ্যে ৭৩টি ভুঁইফোড় সংগঠনের তালিকা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি এসব সংগঠনের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে যারা নানা অপকর্ম করেছেন, তাদের বিরুদ্ধেও আইনি পদক্ষেপ নেয়া শুরু হয়েছে।

এ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, গঠনতন্ত্র ঘোষিত সংগঠনের বাইরে আওয়ামী লীগের কোনো সংগঠন নেই। ‘লীগ’ বা ‘আওয়ামী’ শব্দ যোগ করলেই আওয়ামী লীগের সংগঠন হওয়া যায় না। হওয়ার সুযোগও নেই।

গঠনতন্ত্র অঘোষিত কয়েকটি সংগঠনের নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের বাইরে দুই ধরনের সংগঠন আছে। কারও সরকারি নিবন্ধন আছে, কারও নেই। এর মধ্যে একটি পক্ষ যেমন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে আদর্শিক কাজে ব্যস্ত থাকে, তেমনি বিরোধী দলে থাকাকালেও রাজপথে সক্রিয় থাকে। আরেকটি পক্ষ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সক্রিয় হয়ে চাঁদাবাজি, তদবিরবাজি এবং প্রতারণায় ব্যস্ত হয়ে পড়লেও প্রতিকূল সময়ে হারিয়ে যায়। এই দুই শ্রেণিকে এক করলে আদর্শিক শ্রেণির ওপর অন্যায় হবে।

 আওয়ামী লীগ জাতীয় আস্থার প্লাটফর্ম। প্রথাগত রাজনৈতিক কর্মীর পাশাপাশি সব শ্রেণি-পেশার নাগরিকের আওয়ামী লীগ সমর্থন করার, সদস্য হওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু ক্ষমতার সময় ভালো মানুষের পাশাপাশি কিছু সুযোগসন্ধানী ব্যক্তির অনুপ্রবেশ ঘটছে। এটিই বড় সমস্যা। এ সুযোগসন্ধানীরা আমাদের কারও কারও দ্বারা লালিত হচ্ছে। তারা গুটিকয়েক ব্যক্তি মিলে নানা ধরনের কর্মসূচির আয়োজন করেন এবং সেসব কর্মসূচিতে সরল বিশ্বাসে আমাদের কিছু প্রচারপ্রিয় নেতা অংশ নিয়ে এসব ধান্ধাবাজকে সামাজিক ও দলীয় স্বীকৃতি দিচ্ছেন 

আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে সক্রিয় ছিল, এমন কিছু সংগঠনের একাধিক নেতা বলছেন, ‘বিরোধী দলে থাকাকালে বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে আমরাই ছিলাম মাঠে। সেসময় দলের সাধারণ সম্পাদক, প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ মূল দলের বিভিন্ন পর্যায়ে নেতারা এসেছেন আমাদের প্রোগ্রামে। বাহবাও দিয়েছেন। দল ক্ষমতায় যাওয়ায় আমাদের প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে। এখন আমাদের ছুড়ে ফেলে দেয়।’

আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে সাহেদ করিম ওরফে মোহাম্মদ সাহেদ এবং শামীমা নূর পাপিয়াসহ কতিপয় লোকের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড নিয়ে নানা সমালোচনা হয়েছে। সম্প্রতি ‘চাকুরিজীবী লীগ’ নামে একটি ভুঁইফোড় সংগঠনের প্রচারণায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য হেলেনা জাহাঙ্গীরের সরব হওয়া নিয়ে সমালোচনা ওঠে। পরে তাকে উপ-কমিটি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এরপর র্যাব হেলেনার বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও হয়।

এই ইস্যুকে কেন্দ্র করেই নড়েচড়ে বসেছে আওয়ামী লীগ। ৭৩টি ভুঁইফোড় সংগঠনের নামের তালিকা করার পর তাদের কার্যক্রম বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সংগঠনের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে যারা নানা অপকর্ম করেছেন, তাদের বিরুদ্ধেও আইনি পদক্ষেপ নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।


   আরও সংবাদ