নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৯৩৯ বার
স্টাফ রিপোটার্র, ঝিনাইদহ—
দেড় কোটি টাকা দেনার চাপ আর প্রথম স্ত্রীর বাড়িতে যেতে দ্বিতীয় স্ত্রীর বাধার চাপে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আশাননগর গ্রামের বিশিষ্ট মৎস্য ব্যবসায়ি ও সমাজ সেবক তৈয়বের হৃদক্রীয়া বন্ধ হয়ে অকাল মৃত্যু হয়েছে। ৭ই আগষ্ট শনিবার ১১.৩০ মিনিটে আসাননগর গ্রামের বিশিষ্ট মৎস্য ব্যবসায়ি ও সমাজ সেবক মিষ্টভাষী তৈয়বুর রহমান মালিতা ওরফে তৈয়বের (৫২) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়। তৈয়বের নিকটাত্মিয় নয়ন আহমেদ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করছেন। নিহত তৈয়ব আশাননগর গ্রামের মৃত আহাম্মদ আলী মালীতার ছোট ছেলে। মৃত্যুকালে তিনি দুই স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। আশাননগর ও সাধুহাটি এলাকার রাঙ্গীয়ারপোতা মাঠে তৈয়বের প্রায় সাড়ে তিনশত বিঘা জমির পুকুরে রয়েছে মৎস্য চাষ। সেকারনে বেশ কিছু মাছের খাবার কোম্পানিতে রয়েছে তার লেনাদেনা। রয়েছে ব্যঙ্ক লোনও। তিনি সমাজের অসহায়দের বিপদে তাদের সাহায্য সহযোগিতা করতেন বলেও এলাকাবাসি জানায়। এদিকে তার মৃত্যু রহস্য নিয়ে স্থানীয়রা সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘ দিন যাবৎ তৈয়বের দ্বিতীয় স্ত্রী নাদীরা বেগম চম্পা তৈয়বকে তার প্রথম স্ত্রীর বাড়িতে যেতে বাধা প্রদাণ করতে থাকলে তৈয়ব প্রচন্ড মানুষিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েন। এছাড়া নিহত তৈয়বের একটি মাছের খাবার কোম্পানীতে ৮০ লাখ টাকা দেনা রয়েছে। ব্যাঙ্ককে সিসি লোনও নেয়া রয়েছে অনেক টাকা। সব মিলিয়ে তৈয়ব প্রায় দেড় কোটি টাকা দেনার চাপে ছিলেন। এমতবস্থায় দেনার চাপে পড়ে তৈয়ব বেশ কিছুদিন তার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে ছেলে সাইফুল ইসলাম তরুণ (২৫) কে রেখে নিজে একটু আড়াল হয়ে চলাচল করতে থাকেন। দেড় কোটি টাকা দেনার চাপ আর প্রথম স্ত্রীর বাড়িতে যেতে দ্বিতীয় স্ত্রীর বাধার চাপেই তার হৃদযন্ত্র বন্ধ মৃত্যু হয়েছে মর্মে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তার অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।