ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

এসপি’র বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা নিতে নির্দেশ আদালতের

বিনোদন ডেস্ক


প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৯২৭ বার


এসপি’র বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা নিতে নির্দেশ আদালতের

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এসপি মোকতার হোসেনের বিরুদ্ধে নারী সহকর্মী পুলিশ কর্মকর্তার ধর্ষণ মামলা উত্তরা পূর্ব থানাকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বাগেরহাটের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে মোকতার হোসেন কর্মরত আছেন।

বৃহস্পতিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার এ আদেশ দেন।

এর আগে নারী পুলিশ কর্মকর্তা ঢাকার সপ্তম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এসপি মোকতার হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা নেওয়ার আবেদন করেন। পরে মামলাটি উত্তরা পূর্ব থানাকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন।

এজাহারে বলা হয়, আসামি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাদিকে ধর্ষণ করেন। ২০১৯ সালে বাদি ও আসামি দুই জনই সুদানে জাতিসংঘ শান্তি মিশনের কর্মরত ছিলেন। অভিযুক্ত এসপি মোকতার হোসেন সেখানে পুলিশের কন্টিনজেন্টের কমান্ডার ছিলেন। সুদানেই ঘটনা ঘটে। সেখানে তাদের মধ্যে সম্পর্ক হয়। 

২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর দুপুরে আসামি বাদির বাসায় গিয়ে তার ব্যবহৃত গাড়ির চাবি চান। বাদি চাবি ইউনিফর্মের পকেট থেকে আনতে গেলে আসামি পেছন থেকে জাপটে ধরে ধর্ষণ করেন। এরপর এ ঘটনা কাউকে না জানাতে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখান এসপি মোকতার।

এর দুই দিন পর ২২ ডিসেম্বর আসামি পুনরায় পূর্বের ঘটনা ভুল বোঝাবুঝির কথা বলে বাদির বাসায় যান। কিন্তু ওইদিনও বাদিকে ধর্ষণ করেন তিনি। এই ঘটনাও কাউকে না জানাতে আসামি বাদিকে বলেন। যদি বাদি কাউকে এ ঘটনা জানায় তাহলে ভীষণ ক্ষতি হবে বলেও হুমকি দেন। পরে বাদি বিষয়টি পুলিশ বিভাগে অভিযোগ করেন। অভিযোগটি এখন চলমান রয়েছে।

নিকাহ রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে বাদীকে গ্রহণ করার তাগিদ দিলে মোকতার হোসেন তার সাথে অশোভন আচরণ করেন। বাদীকে এড়িয়ে যেতে থাকেন। এ অবস্থায় গত ২১ এপ্রিল বাদী মোক্তার হোসেনের রাজারবাগের বাসায় গিয়ে আশ্বাস অনুযায়ী বিয়ের কাবিননামা সম্পন্ন করার তাগিদ দেন। এতে মোকতার হোসেন অস্বীকৃতি জানান।

মোকতার হোসেন, তার স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যরা উত্তেজিত হয়ে বাদীকে মারধর করেন এবং হুমকি-ধামকি দেন বলে।


   আরও সংবাদ