ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

কবুতর পালনে মাসে ৫০,০০০ টাকা আয় করেন রাজীব

বিনোদন ডেস্ক


প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৮৪৯ বার


কবুতর পালনে মাসে ৫০,০০০ টাকা আয় করেন রাজীব

টাঙ্গাইল জেলায় কবুতর খামারির তালিকায় এক নাম্বারে রাজীবের নাম। এসএসসি পাস করার পর সংসারের অভাব অনটনের কারণে বেশিদূর লেখাপড়া করা হয়নি তার। নিজের অদম্য ইচ্ছা আর পরিবারের সহযোগিতায় মাত্র পাঁচ জোড়া কবুতর দিয়ে তিনি ব্যবসা শুরু করেন পাঁচ বছর আগে। এখন তার খামারে প্রায় তিনশ’ জোড়া দেশি-বিদেশি কবুতর রয়েছে। জেলার শ্রেষ্ঠ খামারি হিসেবে তিনি যেমন খেতাব পেয়েছেন।

রাজীব জানান, ছোট থেকে স্বপ্ন দেখতেন একদিন মালিক হবেন কবুতর খামারের। স্বপ্ন পূরণও হয়েছে। শুরুটা মাত্র ৫ জোড়া দিয়ে হলেও এখন তার প্রায় ৩০০ জোড়া কবুতর। পাঁচ বছরের প্রচেষ্টায় বদলে গেছে তার ভাগ্যের চাকা। এখন দেশের কবুতরপ্রেমীদের কাছে এক পরিচিত মুখ রাজীব। সারা দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আসেন কবুতর পালক শিখতে ও ক্রয় করতে।
খামারের নাম দিয়েছেন রাজীব পিজন হাউজ। দেশি-বিদেশিসহ খামারে রয়েছে প্রায় ৫০ প্রজাতির ফেঞ্চি কবুতর। 

এর মধ্যে প্রমেনিয়াম পটার, বারলেস রেসার, ফ্রেন্স মুন্ডিয়ান, পাকিস্তানি ডেনিস, জার্মান ডেনিশ, কুবার্গলার্ক, মুর হেড, কালো বিউটি হুমা, ব্লু পটার, অ্যারাবিয়ান টাম্পিটার, বুখরা, বাশিরাজ কোকা, হল্যান্ড জেকোবিন আমেরিকান সু কিং, লাল বোম্বাই, সাদা বিউটি হুমা, ব্লু রেসার, স্টেচার, বারাম্বার টামপিটারসহ ভিন্ন ভিন্ন বহু প্রজাতির কবুতর রয়েছে তার খামারে। তার খামারে রয়েছে ১০ হাজার থেকে ৫৫ হাজার টাকা মূল্যের কবুতর। দেখতে যেমন বাহারি তেমন চমৎকার। বিদেশি জাতের কবুতর প্রথমে তিনি বিদেশি আমদানিকারকদের মাধ্যমে সংগ্রহ করেছেন। পরে ডিম থেকে বাচ্চা উৎপাদন করে তা বাজারজাত করছেন। কঠোর পরিশ্রম, মেধা ও শ্রমের বিনিময়ে আজ এ পর্যন্ত এসেছেন বলে জানান তিনি।

তরুণ এই উদ্যোক্তার এখন মাসিক আয় প্রায় ৪০-৫০ হাজার টাকা। এই টাকা দিয়েই তিনি বাবার সংসারে হাল ধরেছেন, বোনদের বিয়ে দিয়েছেন। তিনি আরও জানান, যখন বেকারত্ব দেশের বিরাট হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে তখন এই চ্যালেঞ্জিং কাজটি হাতে নিই। যেন বেকার তরুণরা এমন উদ্যোক্তা হয়ে স্বাবলম্বী হতে পারেন। করোনা মহামারিতে ব্যবসা অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত বলে জানান তিনি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে যোগাযোগ করেন প্রান্তিক অঞ্চলের অনেক খামারি ও কবুতরপ্রেমীরা। কেউ কেউ ছুটে আসেন শখের বশে কিনতে। তবে রাজীব শিক্ষার্থী বা তরুণদের কাছে কবুতর কম মূলে বিক্রি করেন বলে জানান। 

ঘাটাইল উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আবদুল মান্নান জানান, করোনাকালীন সংকটে বেকারত্ব দূরীকরণে রাজীবের মতো উদ্যোক্তা ঘরে ঘরে গড়ে উঠুক। তাকে সঠিক পরামর্শ দিয়ে পর্যাপ্ত সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি।


   আরও সংবাদ